“সৌরভ”


(সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া দিল্লির ঘটনাপ্রবাহ। সাম্প্রদায়িকতা আর উগ্র ধর্মান্ধতার বিরূপ আচরণ। সেখানেও কিছু কিছু মহল্লা যেখানে হিন্দু মুসলিম একত্রে জাতি ধর্মের উব্ধে থেকে আবহমান কাল থেকে যারা ভাতৃত্বের রজ্জুতে যুক্ত, তারা সেখানে মুসলিম ভায়েরা রক্ষা করেছে মন্দির আর হিন্দু সম্প্রদায় রক্ষা করেছে মসজিদ মুসলিম ভাই আর মায়েদের। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে তাদের সে মানবিকতার উদাহরণ। তাদের কে উৎসর্গ করে আজকের আমার এ লেখা মাত্র)


বিচিত্র, সবই বিচিত্র! স্থির বা ধাবমান
এক পৃথিবী ধর্ম হাজার কলঙ্ক জয়োগান।
ধর্ম প্রমাণ করিছে ধরণী লিপ্ত লহুর তল;
দেশে দেশে রাজ; উন্মাদনায়
ছিন্ন মূলের দল।


অবাক পৃথিবী! গোষ্টিতে ভাগ ধর্ম জিগির তুলে
মানবতা আজ রিক্ত সোপানে
মানব গিয়েছে ভুলে।
রক্ষ রাজেতে ধর্ম বাজেতে বাজায় করুণ গীতি
দিকে দিকে ছল হতাশ বায়েতে
ছাহিছে কেবল ভীতি।
ধর্মের ছায় নীতিহীন কায় ভ্রমিছে ধরার তল
চারিদিশা আজি করাল কালোতে;
সর্ব নাশার দল।


তারি মাঝে সৌরভ; প্রেম দেয় শত দোলা
মহলাতে প্রেম ঝরে নিত্য সে দুই বেলা;
বিপন্ন ধরণীতে পারে এনে প্রাণ দিতে
মন্দির মসজিদ ভালোবাসা প্রেম প্রীতে
ক্ষণিকের বিরতিতে; বলাকায়
পাখ মেলা।


“কারা”


নিস্তার নেই, নিস্তার নেই বাপান্ত প্রাণ;
পূতিময় কায়, জীর্ণ আভরণ! দোল খায় আঁকেবাঁকে।
যুগ যুগ কাল সতত প্রবাহ; ছলনার
ছবি আঁকে।
নির্যাস চাষ চলে বারোমাস; নিম্নে ভূতল তল
গরলে তরলে বহিতে হীয়াতে, শীর্ণতা
হীনো বল।
মুক্তির গানে মুখরিত বায় পথহীন দিশেহারা
অবাক ধরণী রুধিত হৃদয়ে,
ভ্রমিতে রুদ্ধ
কারা।