সাধারণ মানুষ যে ভাষায় বা ভাবে কথা কয়  তা কখনই কবিতা নয়। তাদের কথাগুলি সাজিয়ে লিখলে যা তৈরি হয় তা হলো সংলাপ, কবিতা নয়। এখন সংলাপ কেই যদি আধুনাতে কবিতা বলে ভাবে নেওয়া হয় তো যে কেউ কবি হয়ে উঠতে পারে। যেমন এমন লেখাই আজ দেখতে পাই, যেমনঃ-


তোমাকে বিকালে শপিং মলে দেখলাম
নীল শাড়িতে তোমাকে খুব মানিয়েছিল যেন
তুমি স্বর্গের এক অপ্সরী আর আমি
আমি নিজেকে নিতান্ত অসহায় বোধ করছিলাম
মনে হচ্ছিল, আমি যেন কখনোই
তোমার পাশে মানানসই হব না।
তোমার কাজল কালো চোখ্ , তোমার উন্নত গ্রীবা
প্রসস্ত বক্ষে তুমি যেন পরী, আমি কী
কখনো তোমার হতে পারি।


এ লেখাটি যে কোনও শিক্ষিত লোক লিখে দিতে পারবে। তাহলেই কী এটা কবিতা হলো। এ কথাগুলিই যদি সাহিত্য সমৃদ্ধ কবিতার স্তরে বলতে হয় তবে এভাবে লিখতে হবেঃ-


আজ বিকেলে শপিং মলে
তোমার সে নীল শাড়ি,
স্বর্গের রূপ ধরায় যেন
ভুলতে তোমায়
নারি।


বিবশ আমি আমার শোভা
নাই যে কোনও রূপ
অন্ধ গলি খুজতে চলি
চাইতে সে ছায়
ধুপ।


তোমার কাজল আঁখ সে দিশা
কন্ঠি সে তো ভালো
বক্ষ আলো বিচ্ছুরনে
পরীর দেশের
আলো।


আজ প্রেমেরই তুফান ছোটে
আমায় নেবে কী
বাসছি ভালো ওগো তোমায়,
আসবে কাছে
কী?


কোনও সাধারণ লোক পারবে কী ওই কথাগুলিই এভাবে ছন্দে বেঁধে ফেলতে!


আশাকরি বোঝাতে পারলাম , গদ্য, সংলাপ আর পদ্য বা কবিতার তফাৎ কী? আর সাধরণে আর কবির তফাৎ কী?