“দিল্লি অনেক দূর”


বিরহের ওই মূর্ছনাতে কবি সে তার ছবি আঁকে
কোন সে পথের ধারে!
বাতাস দোলায় ছন্দ তারই, আকাশ কেঁদে
মরে।
মরমরিয়ে বিতান অলি পুঞ্জে তার ঐ লীলা
বৈশাখী মেঘ হারিয়ে বাদল, সাঙ্গ হলো
খেলা।
নীরস দুপুর শ্রান্ত পথে ক্লান্তি নামে চোখে
ডাগর ডাগর নধর সে কায়, কৃষ্ণ কলির
ডাকে।
বিবশ সাঁজে গুঞ্জরিয়া উঠলো নদীর বান
হারিয়ে বাছুর রাখাল বালক, বনের পথের
টান।
তুলির টানে শিল্পী তোলে চিত্রকলার সুর
এবার চলি বন্ধু বাড়ি, দিল্লি অনেক
দূর।


‘ভালোবাসা’


ভালোবাসা ভালো বাসায় ঘর বেঁধেছে গাঁটছড়া,
ধন যেখানে গড়ায় কপোল, ধান্য গীতে
গোলায় ভরা।


জুতোর তলে গোলাম বিবি নির্ধনের ওই জোটে
রা নাই মুখ, মুখরা ঝামায়, দেয় যে
তারা ঘষে।


জীবন তারণ গল্প এটাই এখন ধরায় চলে
ধন্য তারাই যারা প্রবল, ধনে এবং
বলে।


(গত ২২/৯/২০১৯ তারিখে আমার লেখা, "হ্যাচর প্যাচর", কবিতার আমার করা ইংরেজি অনুবাদ)


“Chatterer”


Hari, the chatterer;
Were making fun with auntie
Since yesterday.
Auntie got angry and cried out furiously
Precocious
Mad the.


Hari said; are you crazy!
Yet long time it will take
To be mad, auntie Ji!
But you got old
God may call and ask you to
Depart.


Auntie become frustrated and
Burst in anger
Comes in filthy language
Soared in blood pressure;
Stroke and die.


Hari! It will be better;
Leave!


(অনুবাদিত মূল কবিতাটি)
"হ্যাচর প্যাচর"


কানের গোড়ে হ্যাচর প্যাচর করছিল কাল থেকে
পিশি বলেন পাগল রে তুই, গেছিস অনেক
পেকে।
পাগল নাকী! অনেক বাকি পাগল হতে পিশি
বয়স তো হলোই তোমার চার কুড়িতে
আশি।
এবার তোমায় ডাকছে নিশি, শিশি তোমার ভরেই গেছে
এমন তেমন আর বোলো না; লটকে কখন যাবেই
গাছে।
দুর ছাই তোর মুখটা পোড়া পিশির সে কী রাগ
প্রেসার বেড়ে মরলো পিশি,
হরি রে তুই
ভাগ।


“ছাতার মাথা”


হেই কত্তা কন টা কী, বন চান ক্যান রণ
পাগল টাগল হন নাই তো! এমনটা
ক্যান কন!
ভীষ্ম দাদুর হইলো কী হাল হুনেন বলি কই
তার নাতির ওই বাণের তলত, ন্যাপায়
দিল দই।
হাল হকিকত আইজ কালেতে হিস হিসাইয়া চলে
ফোস ফোসানী করইলে দাদা, প্রাণটা
জে জায় জলে।
হুনেন দাদা বাড়িত চলেন ঠান্ডা করেন মাথা
চিল্লাইলেই কইছি দাদা, করইবে
ফাতা ফাতা।


ছাতার মাথা!


“ভ্যান ভ্যান”


হাঃ হাঃ হাঃ কেল্লা ফতে
রা নাই ক্যান মুখ,
ফ্যাল ফ্যালানী চক্ষু ক্যান
হচ্ছে আমার দুখ।


দুখু মিয়া বেগুন ভাজে
আগুন লাগায় চুলা,
সিদ্ধ কচু ঠেকির শাক
মাঠের থেকে তুলা।


ব্যাঞ্জনেতে এমন তেমন
রাত বেরাতের ডাক,
চুল্লু খেয়ে উল্লু হয়েই
করেন হাঁক ডাক।


আনাজ পাতি আগুন জ্বলে
ফতুর ধরে গান;
আর কবি গন কাব্য গাথায়
করছি ভ্যান
ভ্যান।


"খেলা"


এসেছি একা যাবও একা
খেলবো একটু জীবন মাঠে;
রং তামাসার জগৎ ছেড়ে
প্রিয়া এসো আমার
বুকে।


“দেহজ প্রেম”


আজকে দিনে ওষ্ট কোমল
লালিত্যের ওই কায়া,
উগ্র বাহির মন্দ হৃদে
দেহজ প্রেমই
ভায়া।


হঃ হাঃ