প্রিয়কবি জিন্নুরাইন কবিতা "আমার ইচ্ছা" আজ কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
আদুনিক গদ্যছন্দ কবিতা প্রয়াস 9
পারসেন্ট
অসহিষ্নুতা শুধুই অশিক্ষা কুশিক্ষার অশ্বডিম্ব ফসল-
শিক্ষা তো আজকাল ফ্যাশন।
যার যত টাকা তার তত বাতিক-
দিল্লি পাবলিক-মাদার ফাদার-সেন্ট বা কিন্টারগার্ডেন-
পয়সা ফেক তামাসা
দেখ।
নাইন্টি ফাইভ নাইন্টি এইট পারসেন্ট-টাকার ফসল-
ভাল হবে না এটা হয় নাকি-
মানুষ হবার শীক্ষা
নাই।
এরপর যদি লিখি-যা রাগ ক্ষোভ আছে মনে-
অশালীন মনে হতে পারে-
তাই ভাবছি আর এগোবো না-
ছেড়ে দি।
তবুও অল্প একটু উগরে না দিলে আমার
সেরিব্রাল ক্ষতি হতে পারে।
তাই বলি-মাতা পিতা-
তিন বৎসর ছেলেমেয়ের কাছে আশা করে
আইনস্টাইনের মতো
মেধাশক্তি-
বাবার মুদির দোকান-ফুলেফেঁপে ভরা-
টাকার অভাব নাই-মানুষ নয়
ওদের চাই মার্কস।
দেদার মুনাফা ইংলিস স্কুলগুলি-নাইন্টি ফাইভ-
নাইন্টি নাইন-তারপর
বিচার চলে জুভেনাইল কোর্টে-মানুষ তো হয় নাই
শুধু পারসেন্ট-
জুতা মারি ওই শিক্ষায়।
প্রিয়কবি খসা হক মহাশয়ের প্রকাশিত "পত্রিকা(৫০ তম) কবিতার উত্তরে কথপোননে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
কলকাতা
ব্যস্ত নগগর প্রানের স্পন্দন বয়ে যায় অবিরত-
বিলাসির কতনা বিলাস বাহুল্য-
আবার দুঃখের র্কাহিনী
কত।
আমি আকাশ হতে দেখেছি এ নগর-
দেখেছি শকুনীর শ্যেণদৃষ্টিতে-
বিলাসের বাহুল্য কতনা দেখেছি-
আর দুঃখ দেখেছি-দুচোখের
বৃষ্টিতে।
কত বাহারি গাড়ি দেখেছি-বাইক স্কুটার মারুতি কনটেসা-
আবার দেখেছি কত দুখী নরনারী-
করে মাটির সঙ্গে
মেলামেশা।
কত সুখী জোরা পাখি দেখেছি মাঠে ময়দানে-
অসুখের বার্ত্তা পেয়েছি-ভিখারীর
ভিক্ষাগানে।
আমি উচ্ছল জীবন দেখেছি-হোটেল ময়দান রেস্তারায়-
মৃত্যুর উল্লাস শুনতে পেয়েছি-
নগরের ফুটপাতে-ধুলায়
ধুলায়।
এ শহরে আমি এসেছি বিদেশী-চলে যাব হাসিকান্নায়-
কত সুখের স্মৃতি সাথে যাবে-
হয়তো বা সে সুখের স্মৃতি ভেসে যাবে
দুঃখের বন্যায়।
হাসতে চেয়েছি আমি এ মহানগরে-প্রাণের বন্যা দেখে
দিকে দিকে-
আনন্দের সে গোলাপী রং-দুঃখের জলে
বারবার-হয়ে গেছে
ফিকে।
দুঃখ চাহি না গাহি আমি জীবনের জয়গান-
সুখের প্লাবনে ভেসে যাক-
এ মহানগরীর জল
বায়ু ফুটপাত-মাঠ
ময়দান।
আনন্দের গোলাপী রং এ রঙ্গিন হোক এ মহানগর-
প্রার্থনা করি আমি বেদেশী
সওদাগর।
প্রিয়কবি মৌটুসি মিত্র গুহ(কেতকী) মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "স্বপ্ন দেখা ররেছে জারি" কবিতার উত্তরে কাঁদতে কাঁদতে লেখা কবিতা।
স্বপ্ন
যদি স্বপ্নগুলি সত্যি হোত-জীবন হোত মিছে-
দুঃখ ব্যথা অনেক দুরে-
বিপদ যেত পিছে-
উড়ে যেতাম চাঁদ আকাশে-জ্যোছনা নিতেম ধরে-
বুকপকেটে ভরে নিয়ে-দৌড়
দিয়ে ঘরে-
ডাবল ডাবল জ্যোছনা ঘরে-একটা চাঁদ একটা তুমি-
মন ভরিয়ে দুঃখ তোমার-মিটিয়ে
দিতেম মা মামনী।
বাবার শোকে মুহ্য তুমি-মুছতে না আর শোক-
স্বপ্নে আমি মিলিয়ে দিতেম-
রইতো না আফশোস।
বাবা যেদিন গত হলেন-ব্যাঙ্ক ঋনের ফাঁদে-
সেই দিনটি মনে এলেই-মনটি
মাগো কাঁদে।
দোকান বাড়ি ঝুললো তালা-তুমি আমি মাগো-
ফুট্পাতেতে আছার খেলাম-বললো
ওরা ভাগো।
তুমি মাগো কাজ করো যে-অনেক গুলি বাড়ি-
তবুও আমায় লেখাপড়া-দাওনি
তুমি আড়ি।
মন দিয়ে মা করবো পড়া-দিলেম কথা মা-
মস্ত বড়ো হবই মা-ঘুচিয়ে
দেবো কান্না।
এখন তো মা আঁচল তোমার-কিছুই পারি না-
তাইতো ভাবি স্বপ্নগুলি-সত্যি
হবার ভাবনা।
যদি স্বপ্নগুলি সত্যি হোত-জীবন হোত মিছে-
দুঃখ ব্যথা অনেক দুরে-
বিপদ যেত পিছে।
মোঃ মাজেদ হোসেন কবিতা মুখোশ কবিতার উত্তরে লেখা কবিতা।
লাজ
পশুর জগতে হিংসা নাই শুধু খাদ্য প্রাণের তরে-
যেমত তাদের দিলেন প্রভু-
মন প্রাণ অন্তরে।
তৃণভোজি তৃণেই খুশী-মাংশাসী প্রাণ মারে-
পাপ কোনো নাই-পাপ কোনো নাই-
শুধাও বিধাতারে।
কামধেনু রং দিলেন তাদের-কাম বাসনায় লিপ্ত-
লড়াই সেথায় হলেই কিবা-
হিংসায় নেই লপ্ত।
কামের ক্ষুদা পেটের ক্ষুদা-বিধাতারি সৃষ্টি-
এই দোহেতেই শান্ত ওরা-
নাই হিংসা অনাসৃষ্টি।
হিংসারহিত পশুকূল দিলেন বিভাবসু-
মানুষ কেন উপমাতে-
বলবে পশু পশু।
চোর ডাকাত মন্দমতি-জঙ্গি হানাদার-
ওদের যদি বলই পশু-পশুর
জাতের লাজ।
প্রিয়কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "পদ্ম বনে মত্ত হাতি"কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
একটা
মন্দমতি মন্দমতি মন্দমতি-একটা কিমে জগৎজুরে-
জোরসে সাঁনাই বাঁজে-
একটা ট্রাম্প ধন্ধমতি-যুদ্ধ
ধরে সাজে।
একটা নিতাই জগৎজুরে-জয় গৌরাঙ্গ বুলি-
হরে রামো হরে রামো-সেই কি
দারুন সুর তুলি।
একটা রাবন একটা সীতা-রামায়নটা গড়ে-
একটা মাতা কৈকেয়ীটা-
মহাভারত জুরে।
একটা যীশু একটা বাণী-একটা জাতি গড়ে-
একটা হাসি দৌপদির ওই-
যুদ্ধ বাধায় জোরে।
একটা ভাল একটা কালো-কোনটা নেবে ভাই-
ইচ্ছে তোমার-নাই বাঁধা নাই-
প্রনাম আমি
যাই।