প্রিয় কবি এমকে চৌধুরী রানা মহাশয়ের আজ প্রকাশিত জীবন ভাসমান ভেলায় কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
শাপ


অদ্ভুত ভাবে বিশ্ব সমর্থন করে যাচ্ছে সু চি কে।
অবাক পৃথিবী অবাক।
বিস্ময় জাগে মনে-
মানবতা হরিতে জাগিল সু চি-
আঘাত হানিতে প্রাণে।
শোণিতের ধারা বইলো ভুবন-আর্তনাদের করুণ সুর-
আকাশ বাতাস কান্না ভরিলো-
বক্ষ দুর দুর।
শ্বাপদ সেনা মারিতে মানুষ-
হিংসাতে সঁপে প্রাণ-
আমি কবি কান্নাতে-হৃদয় হরণ-
সু চি তুই মানুষ না হোস-পশুর অধম হৃদ-
শিশুপ্রাণ করিতে হরণ-গাইলি সঙ্গীত।
একবুক শাপ দিলাম তোকে-শয়তান নরাধম-
পাপীর নরকে স্থান হবে তোর-
অনলে জ্বলিতে প্রাণ।


জয়োগান


গর্ব তুমি বাংলাদেশ গর্বে ফোলে বুক-
দেখলে তোমার বিশ্বমাঝে মানবিক এই মুখ।
একবুক শীতল হাওয়ায়-শান্তি আনে মনে-
মানবতার জয়োগান-এই বিশ্বে এই ভুবনে।
শরনার্থী শিবির গড়ে-খাদ্য এবং রক্ষা দাও-
সেলাম তোমায় বাংলা ভুমি-সাম্য শান্তি গানটি গাও।
বর্বর জাত মিয়ানমার-বিশ্ব যখন মুদলো চোখ-
স্বজন হারা মানুষ গুলি-রক্ষা করা তোমার ঝোঁক।
ধর্ম নয় মানুষ চেনো-বঙ্গ ভূম গর্ব আমার-
তাই তো গাথায় জয়োগান-হৃদয় ভরে গাইছি তোমার।


প্রিয় কবি শেলি মহাশয়ার আজ প্রকাশিত বিচারের ভার কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
কাঁদবো কেন


কাঁদবো কেন কাঁদবো না-হৃদয় আমার কোমল কঠিন-
কাঁদবো কেন কাঁদতে কেন!
হোকনা জীবন যতই জটিল।
শক্ত হাতে লড়তে জানি-বইতে জানি জীবন খানি
অনল বুকে ধরতে জানি
জীবন সরল তরল গ্লানি।
দারুন শোকে কান্না বুকে-পাথর চেপে ধরি
কষ্ট করুণ হাসি মুখে-
দুখের সাথে অরি।
কাঁদবো কেন কাঁদবো না-হৃদয় আমার কোমল কঠিন-
কাঁদবো কেন কাঁদতে কেন!
হোকনা জীবন যতই জটিল।
আমায় দিলেন জীবন দিলেন-কান্না দিলেন প্রাণ-
অনেক দিলেন দুঃখ শোকের-
করুণ সুরের গান।
এক সাগরের শোকের বারি-নিকষ আঁধার রাত
সইতে দারুন বইতে দারুন-
কান্না অবসাদ।
তাই কি আমি-কাদবো নাকি-শক্ত হৃদয় প্রাণ
সইতে পারি-বইতে পারি-
দুঃখ পাহার প্রমান।
কাঁদবো কেন কাঁদবো না-হৃদয় আমার কোমল কঠিন-
কাঁদবো কেন কাঁদতে কেন!
হোকনা জীবন যতই জটিল।


প্রিয় কবি ডলি পারভীন মহাশয়ার ফিরে এসেছে কি,, কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
এই যে মেয়ে


হায় হায় হায়! তাই বলে কি গলায় কেউ দড়ি দেয়-
হায় রে হায় কেমন মেয়ে-আমার যেন কান্না পায়।
প্রেম করলে জ্বালা অনেক-সইতে যিনি পারেন না-
একদম না কক্ষোনো না-প্রেম করতে যাবেন না।
কৃষ্ণ রাধা মীরাবাঈ-ওদের কথা ভাবুন না-
কতই জ্বালা সইলো তারা-দড়ি তো কেউ দিল না।
সে যা হোক প্রেম করেছেন-ধোঁকা হবেই খেতে-
তাই বলে কি ধোকলা পাতে-দড়ি দিতে হবে।
হায় হায় হায়! তাই বলে কি গলায় কেউ দড়ি দেয়-
হায় রে হায় কেমন মেয়ে-আমার যেন কান্না পায়।  
জীবন নদী বইতে গেলে-সুখ দুঃখ দুটোই পাবে-
ঞ্জানের প্রদীপ জ্বালাও প্রাণে-পুষ্টি দারুন বল হবে।
দুখের দিনে শান্ত মনে-দাঁত কামরে-সইতে হয়-
ঊষার আলোক ফুঁটতে প্রাণে-ধৈর্য অনেক ধরতে হয়।
এই যে মেয়ে-আমার কথা-ঢুকলো কি তোর কানেতে-
আর কোনোদিন ভাবনা এসব আনবে নাকো মনেতে।


প্রিয়কবি জহির খান মহাশয়ের আসরে প্রকাশিত "তোমার চরণে" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে সেদিন লেখা কবিতা।
স্নেহাশীষ


দিব্য আলোক জ্যোতির বানে-নয়ন ঝড়ুক আলোকবারি-
হৃদয় আকাশ প্রেম সে সুধা-
ঝর ঝর ঝর ঝর্ণা তারি।
জীবন আকাশ দীপ্ত শিখা-শান্তি সুখের বাঢ় সে মেলা-
প্রশান্তির ওই ঝর্ণাধারায়-হৃদ প্রাণ সে আকুল করা।
প্রেম দরিয়ার ফুটুক কুঁড়ি-গোলাপ বকুল হাস্নেহানা-
জীবন তারায় বুলবুলি গান-
দূর বহুদুর দূর হয়ে যাক-
বদ্ধ জলের বিশ্রী পানা।
জীবন তরল কুল কুল কুল-স্নিগ্ধ নদীর জলের ধারা-
দিন দুনিয়ায় সুবাস ছড়াক-
কাব্য ছড়া অবাক ধরা।
জন্মদিনে অনেক দূরে-দেবার কিছুই নেই অবশেষ-
শতেক বছর দিলেম আয়ু-
সুবাস ধরা স্নেহাশীষ।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত শেষ উপায় কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
চুরা না শোনে ধর্মের কথা।


আই মদনা-দ্যাখ দ্যাখ কবি আইছে রে!
আইসাই বোম ফুটায় দিসে!
কয় কি! কয় কি!
উল্টাপথে চইলবারে কয় রে!
হে! হে! আমরা তো এই লইগ্যাই-
কবে হইতে-উল্টাপথে চইলতেছি-কি ক কানাই!
চুরি চেনতাই রাহাজানি-ডাকাতি!
তোগো আর ভয় কি! মন খুইল্যা কর!
কবি তো আছেই।


আপনার উল্টাপথের মানে
আমাগো কানাই মদনা কি বুঝলো
দেইখলেন তো কত্তা।
এইজন্যেই কয়!
চুরা না শোনে ধর্মের কথা।


প্রিয়কবি রমাপ্রসাদ মজুমদার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত মা দূর্গা কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
দৃষ্টি


পূজা আসছে মানে সেই-মন মাতানো সুরের কলি
পূজা আসছে মানে সেই-সাত সকালে শিউলি তুলি।
পূজা আসছে মানে সেই-ঢ্যান কুরাকুর বাদ্যি গান
পূজা আসছে মানে সেই-মায়ের চোখের তুলির টান।
পূজা আসছে মানে সেই-বস্ত্র নতুন ঝলমলে রং
পূজা আসছে মানে সেই-আলতা সিঁদুর রঙ্গিন মন।
পূজা আসছে মানে সেই-মহালয়ের চন্ডী গান-
পূজা আসছে মানে সেই-নতুন ভোরের ঊষার প্রান।
পূজা আসছে মানে সেই-স্নিগ্ধ গগন সিঁদুর মেঘ
পূজা আসছে মানে সেই-কমলো যে কাজ গতিবেগ।
পূজা আসছে মানে সেই-আপন আপন ঘরে ফেরা
পূজা আসছে মানে সেই-অনেক দুরে বাইরে যারা।


আসলে পূজা-ঘর পরিবার ছন্দ সে সুর পাখনা মিলে
আসলে পূজা-কল কল সুর-ভাবনাগুলি ঝিলমিলে।
আসলে পূজা-মনটি আমার ওদের ঘরে দৃষ্টি পরে
আসলে পূজা-ওদের দেখে দুঃখে চোখে জল ভরে।
আসলে পূজা-গরীব দুখি-কান্না ঝরায় অনেক প্রাণ
আসলে পূজা-ওদের ঘরে-সদাই বাজে দুখের গান।
দাওনা মাগো-ওদের ঘরে-একটু তোমার দৃষ্টি কৃপা
দাওনা মাগো-আশীষ তোমার-ওদের প্রাণে দাওনা দেখা।