প্রিয়কবি আতাম মিঞ্(miya) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কাঁটাতার কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
বিভেদ
আধুনাতে মান আছে তার হুশ নাই-তাই কাঁটাতার-
গিঁথে গিঁথে বিঁধে বুকে আড়পার
বার বার।
জবাবটা দেবে কে জল বায়ু হাওয়া খুজি-
হদ্দের হন্যেতে-
শূন্যতা শুধু মেলে-বিফলতা
রোদনেতে।
সূয্যের আলোটাই জ্যোছনার ভরাপাই-
ভাগ শুধু হয় নাই-নাগালের
বাইরেতে-
বাকি যা যা হাতে পাওয়া-বেঁটে গেছে
বিভেদেতে।
নদী জল ভাগাভাগি-ঝগড়ার সীমানাই-
যুদ্ধের সাঁজে সাঁজে-সাগরটা
কাঁদে ভাই।
পাহাড়টা জ্বলছেই ভাগাভাগি ইস্যুতেই-
ভাঙ্গচূর খুনোখুনি-হয়
সারা জগতেই।
মান আছে হুশ নাই-আজ যাই খুজি ভাই-
দশদিক হাতাপাতা-মানটাও
পাই নাই।
তাহলে কি জাতটাই-পুরোপুরি নষ্ট-
ভোরবেলা ভেবে কূল-মনে
লাগে কষ্ট।
প্রিয়কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত স্বপ্নাদেশ কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
। কামধেনু
স্বপ্নীল ঘন নীল রামধেনু স্বপ্নেতে-যদি প্রাণ হাবুডুবু লাল নীল খুব মাতে-
উন্মাদ হয় প্রান- মনটাই
পিছে পিছে বহু ছুটে-
আশাহত প্রাণটাই।
টাই টাই টাই ফিস-ডিসমিস গল্প-রাম শ্যাম যদু কাঁদে-
ছুটে ছুটে ক্লান্ত।
কেন জানি পায় নাই-আকাশের উঁচুটাই-
ছোটাছুটি বৃথা গেল-এলো হাতে
ফিস তাই।
স্বপ্নের দুনিয়াটা লোভাতুর বড় অতি-স্বপ্নেতে বাঁধা থাকে-
সোনা রুপা হিরে মোতি-
জাদুকরা সেই দেশে-উড়ে ঘুড়ে পরী রাই-
দেখেশুনে লোভ ঝড়ে-কাছে পেতে
ধরে বাই।
ভ্রান্ত্র সে রং রূপে-আবেশিত হৃদমন-
ছুটে ছুটে জীবনটা-পরিশেষে
ক্রন্দন।
অধরা সে স্বপ্নেতে-জীবনটা হলো দুখী-
মন প্রাণ ক্ষয়িষ্ণু-হাহুতাস
দিবানীশি।
স্বপ্নের সীমা নাই-দেখো বাপু মেপেঝুখে-
মাপঝোক হিসেবটা-কর বাপু
অঙ্কেতে।
আয় বল সম্বল-ক্ষমতা সে কতখানি-
হিসেবটা পরিপাটি-বুকে বল
যতখানি।
শিক্ষা ও মনোবল-কতখানি সম্বল-
তার বেশি হাত দিলে-অম্ল
সে অম্বল।
ছোট ছোট স্বপ্ন-সে যে বড় হয় খাসা-
ঝিলিমিলি ধরা দেয়-করে নাকো
কভু গোঁসা।
একে একে ধরে ফেল-স্বপ্নের লেজগুলি-
একে একে জোরা দিয়ে-
জীবনটা বুলবুলি।
উপদেশ বহু হলো-খানাপিনা হয় নাই-
স্বপ্নেতে মন ছিলো-কবিতাটা
হলো তাই।
প্রিয়কবি এম এ সালাম মহাশয়ের আজ প্রকাশিত হিসেব মিলাই কবিতা উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
হিসেব
অনেক হিসেব ধরতে হয় জীবন ধরতে হলে-
নেইকো হিসেব না ছিলো না
যখন মায়ের কোলে।
শৈশবেতে হিসেব ছিলো-আনকোরা সব বায়না বাটি-
মাতা পিতার দুখ কি ছিল-তখন কি আর
হিসেব রাখি!
তরুন যখন ঘর দোর বার-প্রিয়ার শতেক ছলা কলা-
পিতা মাতা ডুবুক মরুক-দেখিয়ে
দিলেম কাঁচাকলা।
জীবন ধারন হিসেব অনেক-ঘর বাড়ন্ত বড় হলো-
পিতামাতা ঘর যে ছোট-বৃদ্ধাশম
থাকবে ভালো।
হিসেব পাট চুকিয়ে যে দেই-মূল্য জীবন পালকের-
শিশু প্রিয়া অনেক হিসেব-গুনতে
লালন পালনের।
হিসেব আমার আনকোরা নয় ষোলো আনাই খাঁটি-
ধরতে হিসেব আমার জীবন-
সোনার পাথরবাটি।
বয়সকালে খোকন আমায়-রাখবে মাথায় তুলে-
তাইতো ধন হিসেব করি-
আমি যেমন পিতামাতা-আমায় না
যায় ভুলে।
কবির পরান হাসলো খানিক-হিসেব ষোলআনা-
নরক জ্বালা জ্বলবি রে তুই-
শেষ জীবনখানা।
প্রিয়কবি ড. প্রীতিশ চৌধুরী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত প্রেতাত্মা কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
চাবুক
আশঙ্খায় শিহরণে কেঁপে কেঁপে ওঠে বুক-
কে যেন কষাঘাতে মারিতে
চাবুক-
ভয়ার্ত চাহুনিতে হৃদমন শূন্য-
অব্যক্ত ক্রন্দনে-ধরা প্রাণ
দৈন্য।
পাংশুটে মুখ হলো-ভয়াল সে কষাঘাতে-
ধ্বংসের কিনারেতে-হিংসার
মতি দেখে।
রাশি রাশি নগ্নতা মানবতা কিনারেতে-
অগনিতো ধরা রয়-পরমানু
রণসাজে।
কন্টকো সজ্জাতে অন্তিম সজ্জায়-
জাতি এক কেঁদে ফেরে-
শত দুখ লজ্জায়।
রাজনীতি লুটেরা-কদাকার হিংস্র-
জাত মান বোধ নাই-
অপদার্থ।
যেই শাখা ধরনী-জেগে রবে তোর মান-
যেই শাখে শ্বাস নেবে-
আগামীতে সন্তাণ।
সেই শাখ উদ্যত-কুড়ালের বাঢ় শত-
কেঁটে ফেলে ধ্বংসেতে-অঙ্গতা
উদ্যত।
প্রিয়কবি অনিরুদ্ধ বুলবুল মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কবিকথা-৮ কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
আলোরন
এলোমেলো ভাবনাগুলি হটাৎ ওঠে আলোরন-
সচল হলো কবির কলম কবিকথা
কল কলতান।
ভাবছি কবি ভাবনা তো তাই-
আসতে মনের গোড়-
হটাৎ হটাৎ ছোবল মারে-আকাশ
ঘনঘোর।
তারপরেতে গুড় গুড় গুড় বাজতে থাকে বাজ-
ঝলকানিতে বিজলি বাতি-শ্রাবন
ধরা সাঁজ।
ঝড় ঝড় ঝড় ঝড়তে থাকে-কবির কলমখানা-
পাতার পর পাতা ভরে-রং সে
আলপোনা।
গোলাপ বকুল জুই চামেলী-আকাশ আলো করে-
মন যদি না মানে ভাই-যাওনা
কবির ঘরে।