। আজ আড্ডাতে লেখা
অপরাধ
আজিকে মেদিনী ভুলিছে ছন্দ-বীণার মধুর কলি-
আজিকে নয়ন অঝোর ঝড়িছে-রক্ত ছোবল
শক্ত তুলি-
রিক্ত কলি মধুর সুর-বঞ্চনাতে হৃদয় কাঁদে-
বিহগ সে তার তান ভুলেছে-কোন সে
ধরা অপরাধে।
কঠিন হলো শব্দ শকট-তানপূরা নাই বেহাগ রাগে-
শরদ সেতার ছন্দ সে নাই-কোন সে
রবির অপরাধে।
কাব্য করুণ অঝোর বরুণ নির্ঝরেতে বইছে বায়ু-
রবির দেশে করাল ছায়ে-মেখ সে
করে গুরুগুরু।
আকাশ ফাগুন রং তুলেছে-মন্দ মলয় বইছে বাতাস-
জুই শিউলি মন ভুলছে-ঝড়িয়ে দিয়ে
সকল সুবাস।
তাই কি ধরা শ্বপদ ভরা-একতারাতে নাইরে তান-
তাই কি ধরা রক্ত ঝড়ায়-হিংসা দ্বেষে
ভরায় প্রাণ।
আজ মেদিনী সুর ভুলেছে-উষ্ণ ধরা রণ সে সাঁজে-
কোমল রবি অভাব সে সুর-ছন্দ
মধুর মূর্ছনাতে।
আজকে হৃদয় স্বার্থদ্বেষে-সর্বহারা করুণ সে সুর-
দিকবিদিকে অট্টহাসি-খেলছে ধরা
রক্ত অসুর।
হাজার ফনা হিস হিস রব-রক্ত গরল দিচ্চে হানা-
আজকে ধরা শঙ্কা জাগে-বোম পটকার
কারখানা।
আজকে রবি অস্তাচলে-বিদায় গানে করুণ ধ্বনী-
তাই কি ধরা শ্বপদ ভরা-হিংসা
দ্বেষের প্রতিধ্বনী।
উত্তরে লেখা ছাড়াও কারগিল যুদ্ধের সময়ে লেখা কবিতাটি প্রকাশ দিলাম।
অগ্নুদগার
গিড়িকন্দরে জাগিলো শঙ্কা যুদ্ধের ঢঙ্কা বাজে-
ধ্যানভঙ্গ হইলো তাপস
হিমাদ্রিশিখর জাগে।
আসমুদ্রহিমাচল জাগিয়া উঠিলো গর্জে উঠিল বীর-
বীর পদভারে ধরিত্রী কাঁপিলো
আকাশ চুমিলো শীর।
ভারতমায়ের বীর সেনাণী না জানে ভয়ডর-
পুকারিলো সবে বজ্রনিনাদে-
শত্রু নিধণ কর।
সে ধ্বনী আকাশ চিঁড়িলো বাতাস রুধিলো শ্বাস-
শত্রুশিবিরে হাহাকার ওঠে-
সন্মুখে সর্বনাস।
বীরপুঙ্গব সব কাঁপিয়া উঠিলো-আগুয়ান হতে মানা-
দেশদ্রোহিতার শাস্তিবিধানে আগত
ভারত সেনা।
মরন বাঁচন লড়াই করিলো ভিনদেশী হানাদার-
মরিলো কত পালাইলো শত শত-
হেরিয়া অগ্নুদগার।
পূন্যবতীর শত সন্তাণ অমর হইলো বিনা অমৃতপানে-
সেলাম জানাই গর্বিতবক্ষে
প্রণমি জয়গানে।
প্রিয়কবি মোঃ সানাউল্লাহ (আদৃত কবি) মহাশয়ের রত্নগর্ভা জননী আমার কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
অবশান
ভেঙ্গে পরলে চলবে না-রুখে দাঁড়াতে হবে
এখনো অনেক রক্তক্ষরণ বাকি-
সন্তাণ মা আমরা তোমার-
ঠুকবো ঝকমকি।
ঘষায় ঘষায় জ্বালবো আগুন-শুদ্ধ দেশোপ্রেম-
রক্তক্ষরণ করবো বরণ-
রক্তের লেনদেন।
দানব যারা নাচছে মাগো-বুকের গহীন ক্ষত-
শক্ত কামড় খুবলে নেবো-বিষ ভরা
সে দাঁত।
রক্তে ঝড়ে ফুলকি আগুন-মা বোনেদের আর্ত সুর-
আর দেরী নয় জওয়ান সকল-
দ্বন্দ দ্বীধা করতে দুর।
শৃঙ্খলিত করছে যারা-দেশ মাতার ওই প্রাণ-
মারতে তাদের রক্ত ঝড়া-
করতে অবশান।
প্রিয়কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত আদুরে স্বপ্ন কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
শাণ
মরার ঘাটে ঘাটের মরা-সাঁজলি মোদের ভিক্ষা প্রাণ-
শুষলি অনেক শোষণ দলল-সইছি
অনেক অপমাণ।
তোর চরণে যাচ্ছি বলি-চামরা টেনে খুলিস বেশ-
অনেক হলো এই ধরাতে-করবো
এবার অবশেষ।
একের বোঝা দশের লাঠি-দশদিশাতে জুরবো প্রাণ-
লাঠির মতোই মুচকে দেব-রক্ত আমার
দিচ্ছে শাণ।
সপ্তশিখা জ্বালবো প্রাণে-আগুন ধরা গাইছি গান-
তোর মসনদ-টলমটলে-তাকিয়ে দ্যাখ
শয়তাণ।
প্রিয়কবি এমকে চৌধুরী রানা মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কেমন বিধাতা কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
বিশ্বরূপ
মুদিলে চক্ষু বিধাতার দেখা মেলে-আঁখিপল্লবে নাই-
হৃদমাঝারে অমৃতবাস-ক্ষণে ক্ষণে ক্ষণে ক্ষণে-
অনুভবে পাই।
আমি তো দেখেছি সে বিশ্বরূপ-অরূপো অলকো নন্দন-
আমি তো দেখেছি সজলো সঘনো-
ঘৃতো ফুলো চন্দন।
বারিকো ধনপিপাসায় বহু ধাবমান-হৃদয়ো দরবার নাহিকো যতন-
দেখিবারে নাহি পারে প্রভু সে ঈশ্বর-
অরুপো রতন।
উসর মরুতে শতদল নাহি হয় বিকশিত-
প্রভু সে উর্বরা-হৃদ সে ডালিতে
শত কত।
ভক্ত বিহনে ভগবান-নাইরে পথের দিশা-
হৃদ সে কোমল বিকশিত উর্বরা-
দুর হয় তমানিশা।
প্রিয়কবি ড প্রীতিশ চৌধুরী মহাশয়ের গতকাল প্রকাশিত কবিতা ভ্রম এর উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
পামর
(যে প্রেমিক প্রেমে ধোঁকা দেবে তার জন্যে এই গান)
হায় রে হায়-দখীনা হওয়ায়-
ভেসে ভেসে যায়
প্রেম-
ঘাস বিচুলি গাই গরুতে-
এ ক্যামন লেনদেন!
খুব্ধ চাঁদ দিবেই শাপ-শোনরে পামর শয়তান-
দিলিস যদি এমন গীত-
এমন দুখের
গান।
প্রিয়কবি আনোয়ার মজিদ মহাশইয়ের একটু আগেই প্রকাশিত ইংরেজী কবিতা প্রভু দয়াময় এর উত্তরে কমেন্ট বক্সে ইংরেজীতে লেখা কবিতা।
krodh
and thy say not me but
your consciousness-
love to the suffering humanity
which i gave u
in your heart to
realize
the compassion &
to apply-
for your prosperity.
ever you use it?
ever did you think-that u none
but to render the mercy
which i gave you-
to return!
প্রিয়কবি চিত্ত রঞ্জন সরকার মহাশয়ের লেখা হিরোশিমা দিবস এ উত্তর দিতে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
অন্যের দোষ ধরিলে নিজের পাপ কম হয় না প্রিয়কবি।
কখনো কি সোচ্চার হয়েছেন পারমানবিক
অস্ত্ররোহিত ভারতবর্ষ।
চিন্তা করুন একবার-
আপন ভালো তো
জগৎ ভালো।
অন্য দেশের পরমানু কার্ষক্রম বন্ধ করতে বলবো আর
মনের আনন্দে সেই বোম পটকা নিয়ে
আমরা নিজেরাই প্রত্যহ
খেলা করবো।
পরমানু বোম হাইড্রোজেন বোম-
কি করি না
আমরা।
ক ম ল দাশ গুপ্ত কবিতা "বাতাস তুমি কেমন করে বহ? কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখ কবিতা।
তেলা মাথায় তেল
মদনা ওই তেলা মাথায় তেল-
আমরা কই না!
হেইটা লিখিছেরে আজিকে প্রিয়কবি
বাতাসো নাকি ওগো
সাথ দেয়না।
তাই কই-মদনা-ছলে বলে কৌশলে-
ধনী হইতে লাইগবোরে-অভাগার
দুনিয়া নাই।