আমার জীবনে প্রথম নারী আমার মা
আমি যার নাড়ী ছেঁড়া ধন।
ধাত্রী বা দাই মা যে ছিলো,
সেও নারী একজন ।
আমার দিদিমা, ঠাকুরমা, জ্যেঠীমা, মাসিমা, মামিমা
আর বড় বোনদের ক্রোড়েই ছোটবেলা ;
সবার আদর, শাসন-বারণ, আদেশ-নিষেধ
রাগ-অনুরাগ, প্রেম-বিচ্ছেদ, যত্ন-অবহেলা।
করেছি কতনা রাগ-বিরাগ আর হাসি-কান্নার খেলা।
আমাকে গড়েছে, এই আমি করে
এই নারীরাই করেছে সবই কতনা কষ্ট করে।


ছেলেবেলার স্কুল থেকে শুরু করে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়
সবখানেই অনেক মেয়ে, অনেক রমনীর সখ্যতা আমার হয়।
কারো কাছে পেয়েছি বন্ধুত্বের স্বাদ
কেউবা হয়েছে শুভাকাঙ্ক্ষী নিখাদ,
কেউবা চেয়েছে বাঁকা চোখে, আমায় দেখতে চায়নি বলে;
কেউবা দিয়েছে বিষাদের ছোঁয়া একটু সুযোগ পেলে।
কেউবা ভালোবেসেও ছিল বলতে পারেনি কভু,
আমিতো আমার মতোই হলাম এতকিছুর পরে তবু।


এরপর এলো সেই শুভক্ষণ       যা মনে মনে দেখেছি স্বপন
                 আমার প্রেমী বধূর,
যে মোরে বেসেছে          তার চেয়েও ভালো
             জীবন করেছে মধুর।


সে-ও যে নারী মাতা-ভগিনীর মমতা যেথা পাই
ভালোবাসা নিয়ে ভালোবাসা দিয়ে
সুখে সুখী আর দুঃখে দুঃখী হয়ে
দিলে আমায় এক অমৃত আস্বাদ,
সন্তানসুখে ভরিলো এ বুক গর্বের সীমা নাই।


নারীকে আমি তাই বড় ভালবাসি
নারী যে আমার সদা মুখে হাসি
তবু মাঝে মাঝে আমিও ভুলে যাই,
জেগে ওঠে এই আমার মাঝেও
ধূর্ত-হিংস্র-পাষাণ-দানব
কঠিন পুরুষ ভাই।


নারী মাটি-গাছ, নারী যে তুমি
নারী যে আমার প্রিয় স্বদেশ ভূমি-
পুরুষ আমি, তোমারই সন্তান,
দাও মোরে আরও সুহৃদয় মা
তোমার মহত্ত্বে করে দাও ক্ষমা
গেয়ে যাক এ পুরুষ তোমার জয়গান।