কবিদের মস্তিস্কের কোষে কোষে নৃত্যান্দন কাব্য সৃষ্টির উল্লাস
মাতাল করে তুলে পুরো মানব হৃদয়, খুলে দেয় সৃষ্টির জানালা
রক্তের উপশিরায় নেশাতুর মাতালের মত উত্তালপাত্তাল হয় মস্তিস্ক
যতক্ষন না ভাবের প্রকাশের ভিতর কবিতার জন্ম না হয়
উন্মাদ হয় কবি; পাগলের মত খুঁজতে থাকে কাগজ-কলম কিংবা
এই প্রযুক্তির ডেক্সটপ-ল্যাপ্টপ কিংবা আইপড মোবাইলের মত কিছু
যান্ত্রিকতা দিয়েছে দৈহিক অলসতা, মনকে করে তুলেছে উত্তাল ঢেউ
উন্মাদ কবি ততোক্ষন না শান্ত হয়, যতক্ষণ তার কবিতা সৃষ্টি হয়!


নেশা পাগল কবি, মদ্যপান কিংবা হেরোইন, আফিম কিংবা ইয়াবা
সেবনের মতোই নেশাতুর সে, এটা কোন মারনাস্ত্রক নেশা নয়-এটা কবিতার
কবিতাই কবির ঐশ্বর্য্য সম্পদ, ভাবের পৃথিবী বেঁচে থাকা স্বর্গরাজ্য
সেখানে থাকুক না কবি নেশায় মশগুল, কবিতাই তার সৃষ্টির বীর্য-শুক্রাণু
নারীই তার কবিতা সৃষ্টির ডিম্বানুর মত জরায়ুর অম্বরে উর্বর জমিন
কবির কলমের কালিই জন্মদানের মুখ্যম পুরুষ, সৃষ্টিই তার আদিম নেশা
এক একটি কবিতা কবির ঔরষজাত সন্তান, যে সন্তান মস্তিস্ক থেকে সৃজত
সৃষ্টির নেশায় কবিরাও সাজিয়ে তুলে পুরো পৃথিবী নান্দনিক স্বর্গভূলক
সৃষ্টিকর্তাও অবাক হয় এ কোন মানুষ সৃষ্টি করেছি আমি পৃথিবী অভ্যন্তরে।


কবির চোখ সীমানা বিহীন বিস্তৃত প্রান্তর, দৃষ্টির ভিতর খেলা করে সৃষ্টির মন
পদতল কাব্য-ছন্দে চলে সূরলোহিত সৃষ্টির আওয়াজ, অথচ বিচিত্র সময়
কখনো উত্তাপ দুপুর, কখনো শ্রান্ত সময় আবার কখনো বজ্রপাতে দিশাহীন পথ
তবু কবি চলে সৃষ্টির নেশায়, পথ থেকে পথ চলার ভঙিমাও অন্যদের চেয়ে ভিন্ন
উদাস কবি, ক্ষুধার্ত পেট-ঘোরের পৃথিবী তার কাছে নিত্যান্তই ভাবনস্বর্গ
পাগলামী ভাব, দাঁড়ি-গোঁফে সে থাকে ভিন্নদের একজন, দেখলেই চেনা যায়
ইনিই তো সেই কবি, কবিতার কারিগর-সাহিত্যের অনন্য অলঙ্কারের স্থপতি
বোকারা হেসে অযথা না বুঝে ঠাট্টা করে-কবি, কী দিশাহীন উন্মাদ চান্দাল
অথচ কবির সৃষ্টির কবিতাই তার শিক্ষার একটা শেখর, অথচ জ্ঞানহীন বাক্যচরণ।
১৫ জুলাই/১৪, মঙ্গলবার।