সময় বড়ই আজব ঘড়ি,
আমার করেছে বুড়ো তোমায় বুড়ি,
দেখতে দেখতে পার করছি বছর কুড়ি,
এখন বয়সটা করে পঞ্চাশের ঘরে ঘুরাঘুরি,
আমি মুটিয়ে গেছি পেকেছে চুলদাড়ি,
তবু তোমার পথের পানে ভিরাই তরী।


তুমি করেছ চল্লিশ পার,
পাকাপোক্ত সংসার তোমার,
সন্তানেরা   কলেজ গামী,
স্মৃতিগুলো হয়েগেছে কি ধূসর বাদামী?
মাঝেমাঝে তোমাকেই চিনতে পারিনা আমি,
কত সুন্দর রং বদলে নিয়ছ আমার তুমি।


নতুন পাত্রের আঁকার ধরেছ,
জল ও নারী যেমন হয়,
কষ্ট আর অপেক্ষায় আমি পাথর ময়,
কখনো কি পুরোনো কথাগুলো মনে হয়?
জীবন যখন ছিলো যৌবনে পরিপূর্ণ ময়,
আমাদের প্রেম যখন মনের কথা কয়।


তুমি আসবে আবার জীবন জুরে,
আমি চলবো লাঠি ও তোমার হাত ধরে,
পুরোনো কবিতা আবৃত্তি হবে,
ধুপধুনোর গন্ধে ছরাবে আসবে কত লোক,
আমার আবার বিয়ে হবে বাড়িভর্তি শোক,
আগুন ঘরে বাসর হবে দেখবে পারার লোক।


তারা গুনে পার করো আবসর সময়,
পাকা চুলে হাত বুলিয়ে করো স্মৃতি বিনিময়,
ভাললাগা ভালবাসা নয় প্রকাশময়,
কিন্তু কখনো কখনো সম্পর্কের পসে দারাতেই হয়,
বৃদ্ধ বয়সেও ভালবাসা হয় রঙ্গিন ও মাধুর্জময়,
যৌবনে কাছু সময় কঠিন সিদ্ধান্তই নিতে হয়।