কিছুদিন ধরে শরীরটা ভালোনা,
কেমন যেন একটা বোধহয়,
হটাৎ ঠান্ডা কাশি ও শুরু হলো,
আমি ভয় পেয়ে যাচ্ছি পরিস্থিতির জন্য।


শহরের অনেক লোক করোনায় আক্রন্ত,
আমার অনেক লোকের সাথেই উঠাবসা,
হাসপাতাল, ব্যাংক, থানা সব লোক চেনা,
আমার গন্ডিটা আমার এক ভিন্যভূবন।


পাঁচ মাস অনেকটা গৃহবন্দী থেকেছি,
নিজের কাজবাদে বাহিরে যাওয়াই বন্ধ,
ফোন আর ভার্চুয়াল জগৎ নিয়েই ছিলাম,
মাঝে মাঝে নিজেকে পাগল মনে হতো।


দুই মাস হলো বাইকের বয়স,
শুধু এক সংখ্যার টুর হয়েছে,
এটু দুরে দুরত্বটা দুই সংখ্যার হবার চেষ্টায়,
এক দিন ঘর থেকে বেরিয়েই পরেলাম।


সেই দিন মনে হলো আমি মুক্ত,
আমার ইউমিনিটি বেরে গেছে অনেক,
করোনা আমাকে আর কিচ্ছু করতে পারবেনা,
স্বাধীনতার স্বাদ খুজতে থাকলাম।


আবার সেই পুরাতন জীবন,
বন্ধুবান্ধব দের সাথে আড্ডা জমে উঠলো,
হাসপাতাল,ব্যাংক,থানা,বাজার,রাস্তায়,
আমার আবার রাত দশটায় ঘরে ফেরা।


এদিকে বন্যা চলে এসেছে,
চার দিকে হুর হুর করে জল বারছে,
আমার বাসার চারদিকেি জলে টইটুম্বুর,
যেটা আগে কখনই হয়নি কোন দিন।


কংক্রিটের রাস্তায় হাটু জল হয়ে গেছে,
ঘর থেকে বের হতেই মাছধরার মহোৎসব,
কাছে কোথাও জল দেখও যাই,
রাতে রাস্তায় মাছ দেখতে দেখতে ঘরে ফেরা।


হটাৎ! একরাতে একটু জ্বর অনুভব হলো,
পর দিন হালকা ঠান্ডা লাগা শুরু,
তার পর দিন গলা ব্যাথা শুরু,
এভাবেই শরীর অনেকটা দূর্বল হয় গেলো।


বুঝতে পারলাম এবার কাজ হয়ছে,
করোনা বুঝি আমাকেও চিনে ফেলেছে এবার,
গতানুগতিক চিকিৎসা শুরু হলো,
সময় হিসেব করে চা আর গরম জল চলছে।