প্রবেশ প্রতীক্ষা

প্রবেশ প্রতীক্ষা
কবি
প্রকাশনী নীরব আলো প্রকাশন
প্রচ্ছদ শিল্পী আবু নাইফা মানাল
স্বত্ব লেখক
প্রথম প্রকাশ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সর্বশেষ প্রকাশ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সর্বশেষ সংস্করণ ১ম সংস্করণ
বিক্রয় মূল্য ১০০
বইটি কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

সেখ কামারুল ইসলামের 'প্রবেশ প্রতীক্ষা' কাব্যগ্রন্থের পাণ্ডুলিপি পড়লাম। যদিও তার আগের প্রকাশিত লেখাগুলোর সাথে আমি তেমন পরিচিত ছিলাম না। তিনি একজন পেশাদার কবি নন, তবে তার পেশাগত জীবনে তিনি এমন একটি পেশার সাথে জড়িত যেখানে দৈনন্দিন জীবনের স্বাভাবিকতা বজায় রাখা খুব কঠিন। লেখালেখির সঙ্গে তার পেশাগত জীবনের বিশেষ কোনো সম্পর্ক নেই। বাংলা সাহিত্যের জন্য এটা একটা ভালো দিক। তিনি মূলত মালবাহী ট্রেন চালান। এই বইয়ের প্রতিটি কবিতা প্রায় আলাদা; ঠিক যেমন বিভিন্ন ধরনের মালবাহী ট্রেনের শব্দ, গঠন, এর ভেতরের জিনিসগুলি আলাদা। এই বইয়ের কবিতাগুলোকে কোনো বিশেষভাবে পিন করা কঠিন। বরং দেখা যায় সেগুলো নানা ধরনের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে গেছে। নানা ব্যস্ততার মাঝেও এইভাবে সাহিত্য সাধনা অব্যাহত রাখলে আগামীতে কামারুল আরো সমৃদ্ধ হবেন বলে আশা করি। তবে এটি তার প্রথম দিকের কাজ সুতরাং তাকে যেতে হবে এখনো দীর্ঘ পথ।
প্রাথমিক পাণ্ডুলিপি পড়ে তাকে আমি আমার মতামত দিয়েছিলাম। অন্যান্য সাহিত্যপ্রেমীদের কাছ থেকেও বিভিন্ন মতামত আশা করি পেয়েছেন। যে কোন কাজের সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি হল প্রতিক্রিয়া বা ফিডব্যাক। পাঠকদের প্রতিক্রিয়া উৎসাহ, ভুল শুধরে তার লেখাকে আরো শক্তিশালী করতে পারে, তার কাব্য চেতনার বিকাশে সাহায্য করতে পারে। আমি আশা করি বাংলা সাহিত্যের পাঠকরা বাংলা কবিতার জগতে প্রবেশ প্রতীক্ষায় থাকা তাঁর মতো একজন তরুণ কবির এই শুভ প্রয়াসের প্রশংসা করবেন। আমি তাঁর সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করছি ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

ফকিঊদ্দিন আমেদ
গাববেড়িয়া, হাওড়া

ভূমিকা

মানুষের যখন লেখাজোখার অভ্যাস ছিলো না তখনও কবিতা ছিলো। সেগুলো সৃষ্টি হতো, প্রচার পেত মানুষের মুখে মুখেই। কম-বেশি সকল মানুষের ভিতরেই কবিত্ব থাকে। সে নিজেকে প্রকাশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাধ্যমে তার ভাব-আবেগ চিন্তা-চেতনা অনুভূতিগুলো ডানা মেলে ছড়িয়ে দিতে চায়। নিজের নিজের ভাবনাগুলো যখন ভাষা-ছন্দে রূপ নেয় তখন তা সহজেই স্পর্শ করে অন্য হৃদয়কেও। কবিমনের ভাবনাগুলো থেকে একটা স্বপ্ন সৃষ্টি হয়, সৃষ্টি হয় একটা শিল্পের। এই শিল্পে হয় জীবনের প্রকাশ, অনুভূতির প্রকাশ, কল্পনার প্রকাশ, সত্যের প্রকাশ।
আমি যেমনটা দেখি তেমনটাই লিখি। আমার অভিজ্ঞতা, কল্পনা, প্রার্থনা দিয়ে লেখাগুলো সাজাই। নিজের জীবনের প্রতিদিনকার ঘটনা দূর্ঘটনা অথবা চারপাশে ঘটে চলা ঘটনাগুলো যেমনভাবে আমাকে প্রভাবিত করে, যেমনভাবে আমার সামনে ফুটে ওঠে সেভাবেই লিখি।
চোখ দিয়ে যা দেখি, হৃদয় দিয়ে যা অনুভব করি, অভিজ্ঞতায় যা উপলব্ধি করি, মানসপটে যা কল্পনা করি তাই-ই আমি আমার লেখায় ধারন করি। লিখি, কারন আমি মূহূর্তগুলো শব্দের আকারে ধরে রাখতে চাই। লিখি, কারন আমি অভিজ্ঞতাগুলো জমিয়ে রাখতে চাই। লিখি, কারন আমি সেগুলো অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই। লেখাগুলো কাব্যিক রূপে এলে হয়ে যায় কবিতা; কাহিনীর রূপে ধরা দিলে গল্প ; আর বৌদ্ধিক রূপে এলে প্রবন্ধ।
এ গ্রন্থে সংকলিত কবিতার মতোন আমার লেখাগুলো বর্তমানের স্মৃতি চাওয়া পাওয়া প্রার্থনা বেদনাকে তুলে ধরে। সেগুলো কবিতা হিসাবে অথবা বর্তমান অতিক্রম করার পরও গ্রহণযোগ্য হতে পারবে কিনা তা পাঠকই বলবে।

উৎসর্গ

আমার আব্বার প্রতি যিনি আমাকে হাত ধরে লেখা শিখিয়েছেন, লেখার উপাদান সংগ্রহের জন্য জ্ঞান আহরণ ও জগতের বুকে বিচরণ করতে শিখিয়েছেন। আমার মায়ের প্রতি যিনি আমাকে শব্দের ব্যবহার শিখিয়েছেন এবং আমার শব্দের একাগ্র পাঠক থেকেছেন, আমাকে দেখা-শোনা, পড়া-লেখার যোগ্য করে তুলেছেন।

কবিতা

এখানে প্রবেশ প্রতীক্ষা বইয়ের ৩টি কবিতা পাবেন।

শিরোনাম
মন্তব্য