দু হাতে কুড়োতে গিয়ে কবিতার নুড়ি-
কবে যেন আনমনে এ আসর প্রাঙ্গণে
শুরু হয়েছিল ঘোরাঘুরি।
ক্রমে ঢেউ উঠিয়েছি,
ফুটিয়েছি একদুটি কুঁড়ি।
পারিনি তো ঢেলে দিতে
সোনা দানা মণি ঝুড়ি ঝুড়ি।
কবিতা রয়েছে বহু, হয়েছে তবুও মনে,
আমিও সেখানে কিছু জুড়ি।
কী যেন আবেশে মেতে ছড়া ও কবিতা গেঁথে,
হল কবে তা উনিশ কুড়ি।
খেয়ালে লেখনী ধ’রে চলেছে এমনি ক’রে,
কখনো ছিলো না হুড়োহুড়ি।
ব্যয় ক’রে শ্রম দামী কখনো করিনি আমি
ফসল ফলাতে খোঁড়াখুড়ি।
ছিল না নিশানা কোনো, যাইনি থেমেও পুরোপুরি।
কখনো ডুবেছি ভাবে, লিখেছি হালকা কভু
নিছকই যা ছিলো সুড়সুড়ি।
লিখে লিখে এভাবেই হয়ে গেল নীরবেই
হয়তো বা আজ সেঞ্চুরি।
চেয়ে দেখি হায় তবু পারিনি জিততে কভু
পাঠকের মন পুরোপুরি।
কাব্যের সাথে তাই কল্পনালোকে যত উড়ি
মেনে সীমাবদ্ধতা
ভাবি না আদৌ কোনো হ’ল বাহাদুরি।
কোথা পাব সেই ধার, তীক্ষ্ণ সে লেখনীর ছুরি
যা দিয়ে বিদ্ধ ক’রে
নিমেষেই পাঠকের মন করি চুরি!
------------------