কবিতার রূপ বদলে দিয়েছে
       অতি আধুনিক যারা।
তাদের কবিতা ছন্দবিহীন
       মাত্রা ও মিল ছাড়া।
ছন্দ-বাঁধনে বাঁধা প’ড়ে নাকি
       অনেক কথাই রয়ে যায় বাকি
বুঝে শুনে তাই মেটাতে সে ফাঁকি
       চলেছে নতুন ধারা।
এখন কবিতা ছন্দবিহীন
       মাত্রা ও মিল ছাড়া।


অথচ আগে তো এমন ছিল না,
       তখনো কবিতা ছিল
পাওয়া যেত তাতে ছন্দের দোলা,
       ছিল সুমধুর মিলও।
আবেগে খুশিতে মনে সাধ হ’লে
       সেই কবিতাই পড়েছে সকলে,
আবেদন তার মনে কি তা ব’লে
       কম হত এক তিলও?
একালের মতো ছিল না তা ঠিকই,
       তখনো কবিতা ছিল।


রবি শশী তারা ওঠে যে আকাশে
       এখনো আগের মতো।
এখনো ফাগুনে ফোটে গাছে গাছে
       রাঙা ফুল শত শত।
এখনো কাননে তরুণী তরুণে
       মেতে ওঠে কুহু-কেকা ডাক শুনে,
বিরহী কাটায় আজও কাল গুণে
       পথ চেয়ে চেয়ে কত।
কাব্য-কলিতে নেই শুধু সেই
       ছন্দ আগের মতো।


নদী বয়ে চলে কল কল তানে
       সেথাও ছন্দ বাজে।
থাকবে না কেন ছন্দ তা হলে
       জীবনের বীণা মাঝে?
জীবনে গভীর যত অনুভূতি
       প্রকাশের ব্যথা, যা কিছু আকুতি
উজ্জ্বল হয়ে ওঠে তার দ্যুতি
       ছন্দিত রূপে সাজে।
চাই যে আজও সে ছন্দ-মাধুরী
       জীবনের বীণা মাঝে।
         ------