অন্তরে নিয়ে কবি কবি ভাব  যতই লেখনী ধরি
চেয়েছি, কবিতা-কল্পনালতা নিভৃতে বপন করি।
উতলা হৃদয়-কাব্য-কাননে জন্ম নিয়ে সে লতা
যত্নে গোপনে হবে বিকশিত, রবে ঘেরা নীরবতা।
কচি কিশলয়ে ছেয়ে যাবে লতা, আমি দেব জল তাতে,
অলস দুপুরে, কখনো বা সাঁঝে, কখনো নবীন প্রাতে।
আমার ভাবের সিঞ্চিত রসে উঠবে সে লতা বেড়ে,
আকাশের পানে চাওয়া সে লতাকে সমীরণ যাবে নেড়ে।
অধীর আগ্রহে জ্যৈষ্ঠ আষাঢ় শীত পার ক'রে শেষে
অজানা পুলকে উঠবে কাননে বসন্ত বায়  হেসে।
তত দিনে সেই কল্পনা লতা বিকশিত পুরোপুরি,
সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ওঠে উঁকি মেরে যত কুঁড়ি।
সাধের কুঁড়িরা, এক দুটি ক'রে ফুটবে তা রয়ে রয়ে
দল মেলে দিয়ে উঠবে বিকচ কবিতা কুসুম হয়ে।
এক একটি দিন এক একটি ফুল ছড়াবে গন্ধ হাসি,
নিত্য আসরে দেবে আলো ক'রে নতুন কবিতা রাশি।
হব না তো আর ক্লান্ত, নতুন কবিতা কবিতা ক'রে
চাতকের মতো চেয়ে থেকে হাতে সাধের লেখনী ধ'রে।
তাই খুঁজে ফিরি পাগলের মতো, নিয়ে প্রাণে ব্যাকুলতা-
কোথা পাই সেই কবিতা কুসুমে রাঙা কল্পনা-লতা।
                       ---------------------