গৃহিণী আমার আধা আধুনিকা
          আধা সনাতনী নারী।
শুভ কাজে তার শোভা পায় দেহে
          খাদি বা তাতের শাড়ি।
কখনো বা নীল বালুচরী পরে
            কভু রাঙা বেনারসী।
পঞ্চাশ ছোঁয়া প্রেয়সীকে লাগে
             কখনো অষ্টাদশী।
তবে পা মেলাতে একালের সাথে
             ইংলিশও কিছু জানে।
সালোয়ার প'রে বাসে ট্রামে ব'সে
              হেডফোনও গোঁজে কানে।
তবে সে তো সবই প্রয়োজন বোধে,
              নয় আধুনিকা হতে।
ফ্যাশনের মোহে দেয়নি কখনো
              নিজেকে ভাসিয়ে স্রোতে।
নব ফাল্গুনে ফুল গুঁজে চুলে
               আঁচল জড়িয়ে গায়ে
রাঙানো সিমুল পলাশের বনে
               ছুটে চলে পায়ে পায়ে।
আধুনিকা কিছু বান্ধবী তার
             যদিও রয়েছে কাছে
রবি ঠাকুরের গানের সুরেই
              মন তার ডুবে আছে।
                ---------------