বসুন্ধরায় শেকল টানে ঘুরছে রবির কক্ষতে
প্রানের প্রেমে মৌন মুখর কষ্ট হাজার বক্ষতে
নতুন আসে সাবেক মেশে স্রোতের মুখে অস্ততে
মিথ্যে আশা স্মৃতির নেশা জ্বালায় রোগগ্রস্ততে
তপ্ত কনায় দগ্ধ দেহ আগলে তবু সৃষ্টি সে
ঋণের বোঝা জীবের কাঁধে অশ্রু জলের বৃষ্টিতে
চেঁচায় স্নায়ু মর্ত্যে আসি দুঃখ ভবিতব্যতে
অম্বা তব বিন্দু হতে পুড়ছে প্রতি অক্ষতে
ধন গণনে অন্ধ জনে সংজ্ঞা কেমন যোগ্যতে
গ্রন্থ গড়ে প্রভাব জোরে বিলীন গুনে ভোগ্যতে
বিফল তব চেষ্টা এত ধাত্রী তুমি অন্ধ যে
সৃষ্টি যারে শ্রেষ্ঠ বলে নষ্ট করে সৃষ্টি সে
জ্ঞানের নেশায় অঙ্গ খসায় রঙ্গ ফোটে বিস্ফোটে
অনুন্নতের আর্তনাদে উন্নয়নে উন্নতে
অংশ লাগি ধ্বংস যেথা আবেগ চেতন শক্তিরে
মেধা সেথা নাশের আভাস ক্ষুধায় মরে ভক্তিরে
বক্ষ কোলে আগুন জ্বেলে হরণ করে বস্ত্র যে
তৃপ্তি লাগি ধ্বংসে মাতে খেলনা সাজায় অস্ত্র সে
অবাধ বায়ু অসীম জলে বাঁধছে কোমরবন্ধতে
বুদ্ধ যীশু আলি কালী ঘুমায় বেশে অন্ধতে
সহ্য জানি অন্ত পানে মজ্জা নাহি কুণ্ঠিত
সোনায় রাঙা স্নেহের পরশ ড্রেনের তলায় লুণ্ঠিত
ইচ্ছে মত শাস্তি দিও আশায় আমি মাতৃকা
আমার কলম লিখছে বসে আমার পাপের পঞ্জিকা।।