হয়তো আছিস অট্টালিকার পরে
এলিয়ে আদরে রেশম চাদরে মুড়ে
টেবিলের পরে নানাপদ সেজে ঢাকা
ঝুল আঙিনায় আরাম কেদারা রাখা।


নয়বা হবি শূদ্রের কোনো বেটি
সিক্ত দুয়ারে দুর্নামে লেপা মাটি
রাতে ক্ষুধা মেটে গিলে জাউ এক বাটি
অথবা শুকনো ভাঁড়ের কিনারা চাটি।


হয়তো দেখতে উর্বশী রঙ পরী
ফর্সা তনুতে আলতা ঝরানো বারি
চোখের চাউনি ক্ষুরধার তরবারি
ঠোঁটের লালেতে সূর্যেও যাবে হারি।


নয়বা হলি সাধারণ কালো মেয়ে
দিন কেটে যায় স্বপ্নের পথ চেয়ে
ব্রণ ভরা গালে দুঃখটি পাস খুব
হুল্লোড় মাঝে হীন ভেবে রস চুপ।


হয়তো জানা নিপুণ ঘরের  কাজ
বইএর মাঝে পেরোয় গোধূলি সাঁজ
ডিগ্রি গুলোয় ফাইলে পড়েছে ভাঁজ
পারদর্শিতা ইন্দ্রিয়ে দেয় আঁচ।


নয়বা অথৈ বর্ণজ্ঞান জলে
অতীতেই গেছে মনি দুটি নিষ্ফলে
লাঠির ভারেতে একপা ব্যতীত চলে
অক্ষম তবু সব কাজে মন দোলে।


গড়নের পরে নীলামে ওঠার পর
ঘাত প্রতিঘাতে ঠিক হয় দাম-দর
বসব না আমি এই বেচাকেনা মাঝে
মাথাটিকে তোর রেখে নেব বুক কাছে।।