মানুষরূপী রাক্ষস ঘিরে
খাচ্ছে রক্ত মাংস ছিঁড়ে
কান্না ওদের ভিক্ষা করে
চোখের জলের বন্যা ঝরে
হৃদয় একটু চায় করুনা
তাতেই এত ভর্তসনা
নাবালকের তকমা বলে
হাঁড়িকাঠে মনকে তোলে
আত্মা আমার লুটায় পায়ে
স্বপ্ন হারাই প্রানের ভয়ে
স্বপ্ন চুরি হৃদয় থেকে
কেমন করে নাবালকে
সুর কেড়ে নেয় কোকিল হতে
সুখবসন্ত পেরোয় শীতে
বাঁচার আমার স্বপ্ন ভাঙে
জীবন হারায় কালো রঙে
পোশাক গায়ে দানব ওরা
নাবালকের মুকুট পরা
সমাজে অস্পৃশ্য আমি
চুরি গেছে স্বপ্ন দামি
জীবন আমার গভীর পাঁকে
ঊষার আলোয় চাদর ঢাকে
চাইছি ভিক্ষা জোড় দুহাতে
কাঁদছে খেচর সুপ্রভাতে
শকুনের হায় তৃণ আহার
রাক্ষসেরও বয়স বিচার
দু:শাশনের পাপের বোঝা
মিটাও দিয়ে কঠোর সাজা।।