""""মনপুরার ওই ঘাটের মাঝি,
বসত করে আমার মনের মাঝামাঝি,

তার গন্তব্যের নৌ ঘাটে,
আমার বাড়ির উঠোন আঁটে,
ঘাটের আগে উঠোন কোনে,
শিউলি তুলি আমি বনে,

সে যে চলে আমার পথে,
চোখ আঁটে তার আমার নথে,
মন না নরে আমার হতে,
চাহে আপন করে পেতে,

মুখ ঘুরিয়ে চোখ বুলিয়ে,
সে যে দেখে আমার তরে,
মুখ লুকিয়ে চোখ ঘুরিয়ে,
আমিও দেখি তারে,

আমায় দেখে তার প্রাণে ছুটি,
আমিও হাসি মিটিমিটি,
ভাল লাগা হতে প্রেম জাগা,
একে অপরের হবার প্রতিজ্ঞা,

স্বপ্ন দেখি ঘর সাজানোর,
আশায় আছে বর বানানোর,
সেও কি দেখে একই আশা?
স্বপ্ন রাখে আমায় ভালবাসা?

তবে সুখ যে হায় গেল বিতে,
পরের দিনের ঘটনাতে,
আমার মন শুধুই বাধে,
চক্ষু দুইটা শুধুই কাঁদে,

পরের ঘরে যাইতে হবে,
আপনরে হারাইতে হবে,
এই ব্যথা যে বিষের সমান,
মরন আমায় করছে দমন,

দুঃখে আমার কান্দে প্রাণ
অবাধ্য আমি, বাঁধিল মোরে,
দ্বার অন্তে আমার স্থান,
সীমিত করিল ঘরের ডোরে,

নতুন শাড়ি নতুন চুরি,
সবার মুখে হাসি সারি সারি,
তবে কেউ কি জানে আমার কথা?
আমার মনের বান্ধা ব্যথা?

বদনে আমার বিয়ের শাড়ি,
শুনি, সেও যে এল ঘুরি ঘুরি,
তারে দেইখা পরান দুঃখে ভারি,
তাও যে সে মুখ ফিরাইয়া চাইল না,

বন্ধন শেষে পালা ভোজনেরি,
ভোজন শেষে আমায় ছাড়ি,
আবার সে যে ফিরল বাড়ি,
কিছুই কথা কইল না,

সে কি মোরে বাসে ভাল?
আর যে জানা হইল না,
এই দেখা কি শেষ বল?
আর কি মিলন হইব না?

বসত এখন অন্য ঘরে,
পর সে, আপন অন্য নরে,
পরের বাড়ির শাসন নিয়া,
বাঁচা যে হায় মরন ছোঁয়া,

কূল হারানো বৃক্ষ মূল,
কেউ তো তাহা বুঝল না,
আমার কথা কর্নশুল,
কেউ তো তাহা শুনল না,

জন্ম কদিন আয়ু কদিন?
কেউ তো তাহা গুনল না,
আজ লিখেছি আমার মরন,
কেউ তো তাহা জানল না,

বিষে বিষে রাঙিয়ে দিলাম,
নিজেই নিজের প্রাণ কাড়িলাম,
আমার দেহ নিলাম নিলাম,
যার যার চাই বিলিয়ে দিলাম।""""