তাক ধি তান নাচতো রাসেদুল !
কানায় কানায় ভরতো স্কুল ৷
স্কুল মাঠে দর্শক বেশি
মনোমুগ্ধকর সেলামি  বেশি ৷
আসর কাসর রাসেদের নাম
কত সুন্দর নৃত্য দেখলাম ৷
পদাঙ্গুলি চিহ্ন সন্ধ্যায় ও ভীর
নৃত্য দেখে  রাসেদের বাড়ি ফির  ৷
রাসেদের বাড়িতে বড় অভাব ,
দুঃখ দিয়ে কিনলো স্বভাব ৷
বাবা করছে দুটি বিয়া
সৎ ভাই আছে লইয়া ৷
দোকান ছিলো পথের ধারে
পেটের দ্বায়ে বেচলো তারে !
দুঃখ পোষলো দুঃখ বানলো
অসৎ ভাই বিদেশ পাড়ি দিলো !
অনড় জ্বলে বাবা নেশাগ্রস্ত
মাদক গিলে হইলো আসক্ত ৷
খেতে খেতে করলো শূন্য
জীবন শেষে মরণ পূন্যা ৷
মা বেটার করুন জীবন
দিনের শেষে হয় যে ক্ষরণ ৷
কৃস্তি ঋণে সৃষ্টি দেনা ,
রাত পোহালে বলে পরিশোধ কেন করোনা ?
রাসেদ মিয়ার মায়ের দুঃখ
কোথায় গেলে পাবে পক্ষ ?
ঋণের এই পাপের বোঝা
সহ্য করতে পারলো না ওঝা ৷
নিয়তির এই পরম বেশে
ফাঁসি দিলো রাসেদ ঘরের বাঁশে ৷
মায়ের এখন করুন দৃশ্য
ভিক্ষা পায়না অন্ন মিশ্র ৷
পথের ধারে ঘুমায় থাকেরে
লোকে এখন পাগলী বলে তাড়ায় রে ৷