আমার ভিতরে একটা যন্ত্রণা আছে
অসহ্য যন্ত্রণা সংঙ্গা নেই।
দিন রাত বাধ্য চাকরের মত বয়ে চলে
কোন মুক্তি নেই ,কাউকে জানাতে পারি না।
আমি যখন ঘুমায় ,স্বপ্ন দেখি-মধুর স্বপ্ন ।
আস্তে আস্তে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে ,
বুকের ভেতর যন্ত্রণা আকড়ে ধরে
বৃষ্টির যৌবন বয়ে যায় চোখে।
ঘুম ভেঙে যায় ,ঘুম আসে না
গভীর রাত ; রাস্তা দিয়ে হাটি
থাম্বায় সোডিয়াম  আলো জ্বলে-
আমি চলছি ,নারী চলছে প্রতিরোধহীন ,
একটুও লজ্বা নেই ।
দু'হাতে চোখ বন্ধ করি
শুনতে পাই চিৎকার ,আত্মার-আর্তনাদ
চোখ খুলতে পারি না ,দম বন্ধ হয়ে যায়
টুকরো ছেড়া পরিচয়হীন লাশের গন্ধ ভাসে বাতাসে
আমাকে আকড়ে ধরে ------।
কাউকে জানাতে পারি না।
বাবা-মা'কে ভালবেসে ছিলাম ,
দুজনেই চলে গেছে ,ওদের সব যন্ত্রণা আমাকে দিয়ে।
ভিক্ষুকের মত সামান্য ভালবাসা চেয়েছিলাম
প্রিয়তমের কাছে ।দ'হাত পেতে
হাটু গেড়ে বসেছিলাম তাঁর চলার পথে ,
বুকের সব রবক্ত দিতে চেয়েছি
বিনিময়ে ; একমুঠো ভালবাসা ও----।
চলে গেছে প্রিয়তম আপন সংসারে ,
দিব্যি সুখে আছে ওর সব যন্ত্রণা আমাকে দিয়ে ।
এখন যন্ত্রণা -শুধুই যন্ত্রণা
স্বজনহারা একমাত্র স্বজন।
আমার প্রেম ভালবাসা সুখ ও দুঃখ ,
যন্ত্রণা আমার অজানা বসতি ।