শ্রেয়সী ,
তোমার সাথে অনেক পথ পাড়ি দেব বলে
চৈত্রের শেষ দিনে শপথ নিলাম
বৈশাখে যাত্রা শুরু ,
আকাশে গুরু  গুরু  গর্জন ,দমকা হাওয়া
কালবৈশাখী সাত মুখ নিয়ে গ্রাস করতে চাইলো সুখের নহর
তোমার হাতে আমার হাত
চলেছি নৈসর্গিক সুখের খোজে ;বহুপথ
বহুপথ পাড়ি দিব অজানা গন্তব্যে
বৈশাখ হতে চৈত্র ,আর চৈত্র হতে বৈশাখ
বছর ,যুগের গন্ডি ভেঙে শতাব্দীর হাতছানি
বহুবছর কেটে যায় ,হারায় বসন্ত
কোথাও এতটুকু ছেদ নেই ,নেই যাত্রা বিরতি
চলেছি তোমার হাতে রেখে হাত
সাগর বেলাভূমিতে সূর্যের ঝরে পড়া দেখতে গিয়ে
মাড়িয়ে দিলাম সৌন্দর্যের কত শত শামুক ঝিনুকের মরা লাশ
ঝাউবনের শাখা দুলে উড়ে গেছে হাজার ও
ডানা ঝাঁপটানো পাখি
তবুও চোখ জোড়া দিগন্ত পারে
যেখানে আকাশ ডুবে গেছে সাগরে ।
এক জোড়া শঙ্খচিলের ডানার হাওয়ায়
শ্রেয়সীর চুল আমার মুখে
কালো চুলে সোনালি রঙ
চোখ যেন সাগর হলো
জোয়ারের জল কুলে আছড়ে পড়ল ।
প্রেয়সী ,
তোমার হাতে আমার হাত
তোমার নিঃশ্বাসে ,আমার বিশ্বাস
নিঃশ্বাসে -নিঃশ্বাসে কার্বন ডাই অক্সাইড
কার্বন ডাই অক্সাইড আর কার্বন ডাই অক্সাইড
পৌছে গেলাম দিগন্ত পারে
পরম মমতায় জড়াজড়ি করে ।