অনামিকা ,
সময়ের স্রোতে ভেসে ভেসে
তুমি পাড়ি দিলে ইংলিশ চ্যানেল,
দুরে দাড়িয়ে আবছা আলোয় ঝাপসা হলো চোখ,
দেখলাম তোমার হাত-পা ছোঁড়া শিল্প শৈলী,
প্রতিটি আঘাত যেন,বুকের পাঁজরে
চোখের লোনাজলে ভিজে গেল-
চৈত্রের রোদে পোড়া চৌচির মাটি ,
প্রকৃতি সজীব হলো,
সতেজ বৃক্ষরাজি
তবুও ভিজলো না তোমার হৃদয়।
অনামিকা,
তুমিতো সেই,
নাকি , অন্য কোন অজানা গ্রহের
সত্য ,নিষ্কলুষ ,অস্পৃশ্য মানবী ?
তোমাকে ছোঁয়া যায় না , দেখা যায়।
তুমিতো সেই,
নাকি , শুধুই ঘুণপোঁকা
মেটে না তোমার ক্ষুধার্ত থাবা-
যা পাও, তাই খেয়ে কর অন্তঃসার শূন্য।
অনামিকা ,
চুপ কেন ?
উত্তর দাও ,
জানি, উত্তর দিতে পারবে না।
আজ কচ্ছপের মত খোলসে মুখ লুকিয়েছো
অজগরের মত শীতল দেহ নিয়ে
জঙ্গলে নতুন শিকারের আশায়।
আবার নতুন রেকর্ড গড়বে,
জোয়ারে ভাসাবে শরীর,
বেশতো-
লাঙ্গলের ফলা মাটির দেহ কর্ষণ করে
যুগের পর যুগ,বহু শতাব্দী,
তুমিও না হয়----পুরুষ জাতির !য
আসি তবে ধন্যবাদ ।