তুমি কেন এলে না ?
পান চুনে গাল রাঙা করে
লাল ঠোঁটে মিষ্টি হেসে ।
তোমার দাঁতে পেষা পান
মজা করে গাল টিপে
কল কল হাসি হেসে
এখন তো বল না 'লেজহীন বাঁদর ।
অপাঙ্ক্তেয় মনে করে
ফেলে গেলে ভাঙা ঘরে
শীতের ধানের কচি চারায়
শিশির বিন্দু যেমন সকালের
সোনা রোদে হারায় ,
তেমনি তুমিও হারালে ভোরের শুভ্রতায়।
আর তো এলে না ?
এত অভিমান কিসে?
আমিতো আগের মত দুষ্টুমি করি না
কাচের মার্বেল ,ডাঙ্গুলি ,ঘুড়ি উড়ানো সব ছেড়েছি ,
চিত্রা নদীর জলে সাঁতার কেটে
এখন আর চোখ লাল হয় না ।
তুমি আর আমায় লাঠি নিয়ে
তাড়া করতে পারবে না।
কুজো বলে তোমার সাথে আর তামাশা করব না
করবই বা কেন ? তুমি তো এখন একেবারে সোজা।
জানো আমি কত বড় হয়েছি ?
তুমি ভাবতেই পারবে না
যেমনটা তুমি বলতে, ঠিক তেমনটা
আমার পা মাটিতে আর মাথা ছুয়েছে আকাশে
হি-হি-হি ,তোমার হাসি পাচ্ছে না ?
আমার কিন্তু পাচ্ছে ।
আর একটু বড় হলে তোমায় ছুঁতে পারব
আবার আড্ডা হবে ।বল ,কেমন মজা হবে !
আচ্ছা ,আমার জন্মদিনে তুমি আস না কেন ?
আমি অনেকবার নদীর ধারে দাঁড়িয়ে
দাদু -দাদু বলে চিৎকার করে ডেকেছি
তুমিও আমায় দাদু -দাদু বলে ডাকলে-
কিন্তু আসলে নাতো।
পরের বার তোমাকে আসতেই হবে
না এলে ,আমিও তোমার মত সাদা হব
শীতের সকালের শুভ্রতায় মিশে যাব।
তখন কিন্তু আমায় দোষ দিতে পারবে না
দাদুভাই ,দাদুভাই বলে ডেকে
হাউমাউ করে কাঁদলেও আমি সাড়া দিব না।