জিহ্বা
তুমি  নরোম তুলতুলে এমন শিমুলের শুভ্র তুলো যেমন তোমার কোমল মাংশপিন্ড কাঁদায় হাসায় মানুষের মন।
কখনো তুমি নির্দয়, নিষ্ঠুর যেন চেঙ্গিসের নাঙ্গা তলোয়ার!
লকলকে কালো সাপের ফণার মতো ছোটাও কথার জোয়ার!
জাহান্নামের আগুনের হলকা তোমার কাছে কোন ছার
বিষাক্ত তীরের মত তা মনে বিঁধে আঁকে যন্ত্রণার পাহাড়।
পৃথিবীতে এমন কোন অস্ত্র আছে যা  মনে কাটে দাগ
অথচ কয়লাসম হয় মন পেয়ে তোমার নির্মম আঘাত।
পারমানবিক বোমার আঘাতেও মন যায় না ভেঙে শেষে
তোমার আঘাতে জর্জরিত হয়ে মন ভেঙে যায় নিমেষে!
সহস্র চাবুকের আঘাতে  যেজন গায় জীবনের গান
সেজন তোমার বিষাক্ত কটু বাণে পলকে  হারে প্রাণ!
তোমার নরোম মাংশ পিন্ড ইচ্ছেমতো এঁকে বেঁকে
মানুষের মনের গোপন কুঠুরিতে রক্ত ঝরায় নিভৃতে।
হে জিহ্বা তুমি শান্ত হও,
দেখ তোমার অশান্ত ছুটে চলায় আজি
ভাই, বোন, বন্ধু, আত্মীয়- স্বজনে কত রেষারেষি
তোমার অসংযত, অশালীন, বিষাক্ত  উচ্চারণে
জাতি, গোত্র, ধর্ম, বর্ণে বিদ্বেষ বাড়ছে অকারণে ।
আজ কোথাও শান্তি নেই শুধু সন্দেহের বিষে
চোগলখোর আর গীবতেরা আছে মিলেমিশে!
জিহবা তুমি কোমল হও
বন্ধ করো তোমার অকারণ বোল
তোমার ছুটে চলায় জাগুক শান্তির দোল
অসত্য উচ্চারণ যাক দূরে সত্য আসুক বারে বার
মন আর মসজিদ ভাঙার পথে তুমি যেওনাকো আর ।