একদা পারস্যে ছিল এক রাজকণ্যা
সারা গায় ঝরত তার রূপের বন্যা
ছিল সে তেজি অতি দজ্জাল জল্লাদ
তবু হাজারো যুবক হয়েছিল উন্মাদ।
কত যুবক পাগল হয়ে তাকে করল বিয়ে
জুতাপেটা খেয়ে বিয়ে ভাঙে দুদিনে!


সেই দেশে ছিল দুই ভাই বড়টা চোখা
ছোট ভাইটা ছিল কিছুটা বোকাসোকা
রাজকণ্যার রূপ অনলে বিষম মুগ্ধ হয়ে
বড় ভাই মালা গেঁথে করল তাকে বিয়ে
তারপর দুদিনেই বিয়ে গেল ভেঙে
চুলপড়ে গেছে তার জুতার বাড়ি খেয়ে।
বড়দুঃখে ছোটভাইকে বল্ল সে কথা
ছোটভাই শুনে মনে পেল বড় ব্যাথা।


নিষেধের বাঁধা ভেঙে ছোট ভাই চলে
বিয়ে করে ফেলে সেই দজ্জাল রাজকণ্যাকে
তারপর কেটে যায় দিন মাস বছর
বিয়ে ভাঙার আর নেই কোন খবর।


একদিন বড় শুধায় ছোট ভাইটিকে
কোন জাদুবলে তোর বিয়ে গেল টিকে
ছোট হেসে কয় তার বড় ভাইকে
বিড়াল মেরেছিলাম বাসর রাতে
আমাদের প্রথম কথার মাঝখানে
তার প্রিয় বিড়াল আসে ভীষণ উত্‍পাতে
তারপর এক কোপে বিড়াল বিনাশ
রাজকণ্যা ভয়ে বলে করলে কি কাজ?
বলি আমি বেয়দবী করিনা পছন্দ
সেই থেকে রাজকণ্যা ফিরে পায় ছন্দ।