আটলান্টিকের ওপার হতে প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে
এডামস পিকেরদরজা থেকে হিমালয়ের পাদদেশে
আমি কান্নার নদি দেখছি।
আমি কান্না দেখেছি পলাশীর প্রান্তরে
তিতুমীর কিংবা ক্ষুদিরামের ফাঁসিতে
৪৭ সালের ভারত বিভাগের পরে
গুজরাট এলহাবাদ কাস্মিরের পথে পথে!
আমি কান্না দেখেছি ৫২ তে লাল রক্তে
একাত্তরের অগ্নিঝরা বুলেট বোমার ভীরে।
কান্নার স্রোত বয়ে গেছে দু দুটি মহাযুদ্ধে
হিটলার মুসোলিনী চার্চিলের কূটচক্রে!
বেকারত্বের অভিশাপে বু আজিজির শরীরে
তিউনেশিয়া থেকে তাহরির স্কয়ারের পথে।
সোমালিয়ার দুস্যুদের হাতে বন্দি নাবিকদের কান্না
চেরোনবিলের ভয়াবহ পারমাণবিকে লাখো শ্রমিকের কান্না
বৈষম্যের প্রতিবাদে তামিলদের চাপা কান্না
হিরোশিমা নাগাসাকিতে মানবতার মহাকান্না!
আজো চেচনিয়াতে স্বজনের আহাজারি
ইরাক আফগানে কান্না স্রোতের নদি
রোহিঙ্গাদের ক্ষত বুকে তীব্র চাপা কান্না
ফিলীস্থিনের তপ্ত জমিতে কান্নার ফোয়ারা!
আমি অনেক কান্নার গল্প জানি
লিখতে লিখতে শেষ হবে না এই কবিতা খানি।
এই কান্নার মাঝেই; মাঝে মাঝে হাসি দেখি
ছোট্ট রুটির টুকরো পেয়ে উদ্বাস্তু শিশুদের হাসি
একটি ম্যাচ জয়ে কাবুলের পথে পথে হাসি
চিলির শ্রমিকদের উদ্ধারে অকৃত্রিম নির্মল হাসি
চন্দ্র জয়ের পরে বিশ্ব বাসীর হাসি!
আমি দেখেছি সবার হাসি কান্নার রং এক
সাদা কালো চামড়া ভাজে সবার রক্ত এক
সবাই ভালোবাসতে চায়;নিরবে ভালোবাসা পেতে চায়
তাই বিশ্বময় এই হাসি কান্নার মানুষগুলোর দিকে-
আমি অবিরাম তাকিয়ে থাকি; মুগ্ধতার দরজায় কড়া নাড়ে!