ইদানিং কবিতারা ব্যস্ত হয়ে গেছে
পাতাল রেলের
সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ব্যস্ততা!
কবিতাগুলো এখন আর কোন
ধানসিড়ি নদীর তীরে
কিংবা রূপসার ঘোলাজলে কোন এক
রাজহংসী হয়ে
রাজহংসের কথা শোনার অবসর
পায়না।
তারা সুপার সনিক বিমানের
সাথে পাল্লা দিয়ে ওড়তে চায়
যেখানে ফিনিক্স পাখির গতিও হার
মানে!
কবিতারা এখন আর নীল
জ্যোস্না ভেজা রাতে
বুনো হাসের সাথে অজানায়
ওড়ে যেতে চায়না
কবিতার মনে এখন
লক্ষ্নী ধানেরা সুর তোলেনা
রাখালের পালতোলা নৌকা গুলো কেন
যেন সেকেলে মনে হয়!
কবিতারা এখন আর স্বর্গীয়
ভালোবাসা গুলো খুঁজতে চায়না
বিজ্ঞাপন
বিরতিতে জেগে উঠা কর্পোরেট
ভালোবাসায় বুদ হয়ে
হৃদয়ের ভাঁজে ভাঁজে লুকানো স্বপ্ন
দেখেনা সে
কারন স্বপ্নতো আর
খাওয়াবে পড়াবেনা!
ইদানিং কবিতারা ঝরা বকুলের
পাশে দাঁড়াতে চায়না
শিশির স্নাত
ভোরে গাঁথেনা সে শিউলী ফুলের মালা।
কবিতা গুলো প্রায় ই চাইনিজ
রেস্টুরেন্টে গিয়ে থামে
বিরিয়ানীর ফুল
ডিসে নিজেকে খুঁজে ফিরে!
ইদানিং কবিতারা নেই শিমুলের ডালে,
কোকিলের মায়াবী তানে
নেই শান্ত টলমলে পুকুরের জলে,
কৃষ্ণচূড়া গাছের তলে।
কবিতারা নেই রাখালী মাঠে,
ভরা দুপুরে মাঝির ঠোঁটে
রাতের আকাশে নিবিঢ় তারার ভিরে,
ভেসে আসা অজানা পাখির গানে।
কবিরাও ব্যস্ত খুব।
জ্যামে পড়া সময়ের গ্যাঁড়াকলে,
কাজের ফাঁকে নিয়মের অবসরে
কিংবা ধার করা সময়ের কিছুটা সময়
ধরে চলে তাদের কাব্যের চাষ
কবিতারা এগিয়ে যায় ট্রাফিক
পুলিশের বেধেঁ দেওয়া সময়ের ফাঁকে!