ও মা তোকে কি বলেছিলাম ?
বলেছিলাম কি আমায় পালতে ?
তোর তারুণ্যের রঙিন দিবস গুলি বলি দিয়ে ভ্রূণ টাকে শরীরে রূপায়ণে অবদান রাখলি ।
কষ্টের অসহ্য মুহূর্তে ও সযত্নে সে শরীরটাকে শীতল ছায়াতে আগলে রাখলি ।
ও মা তোকে কি বলেছিলাম ?
বলেছিলাম কি আমায় ভালবাসতে ?
ত্যাগের মহাসাগরে ভাসিয়ে জ্ঞানহীন অবুঝ এই আমি কে আমায় পরিণত করলি !
নিঃস্বার্থ ভালবাসার কোমল স্পর্শে বেঁচে থাকার প্ৰেরণা যোগালি ।
ও মা তোকে কি বলেছিলাম ?
বলেছিলাম কি আমায় শেখাতে ?
তোর সবটুকু দিয়ে এই অচেনা জগতটাতে আমায় পরিচিত করে তুললি ।
নিজ জীবনের সাথে এই জীবনটাকে মিলিয়ে অপদার্থ আমাকে যোগ্য করে তুললি ।
না ! কই কিছুই তো তোকে বলিনি ।
তবে কেন আজ আমি তোকে বলি ?
অনেক কিছুই বলিঃ
কখনো চোখ পাকিয়ে , কখনো শাসনের স্বরে ।
কখনো বিরক্ত দেখিয়ে , কখনো অবহেলার স্বরে ।
তুই তো দেখি অবুঝ শিশুর মত নীরবেই থাকিস ।
কারাগারের নিরুপায় আসামীর মত তোর দৃষ্টি নামিয়ে নিস নয়তো বা সরিয়ে ।
কিছুই তো বলিস না ।
তাহলে শৈশবে আমার কিছুই না বলার , প্রতিদান তুই দিচ্ছিস ?
নীরবে নিভৃতে সব কিছু সহ্য করে নিচ্ছিস ?
ও মা তুই দিবি কেন , তোর প্রতিদান তো আমি দিব ।
না না তোর সুবৃহৎ হৃদয়ের প্রতিদান নিঃস্ব এ আমি কিভাবে দিব ?
চাই না কোন প্রতিদান , দিতে ও পারবোনা কোন প্রতিদান মা ।
কোন বিনিময় নই, চাই মা তোর কাছে ক্ষমা ।