বুলেট পোরা শরীরটা; এতদিন পরেছিল-ওদের আসা যাওয়ার পথে
কয়েকটা বুটের লাথি, গতকাল থেঁতলে দিলো আমার মৃত বুকটা!
আজ গন্ধ ছড়ালাম;নির্বিঘ্নে। অসহ্যের তীব্রতা ছাড়াতে
ওরা কেউ আমায় টানতে টানতে এনে ছুড়ে ফেললো- তিরতিরে স্রোতে।
জল আমায় নিলো না, কাঁদার হাত থেকে ছাড়িয়ে
কয়েকটা কুকুর অথবা ওরকম কিছু আমায় শুঁকে নিলো-আগাগোড়া
ওরা আমায় ছুঁল না। হয়তো বেশী এঁটো হয়ে গেছি! কিংবা তাজা মাংসে-এখন ওদের পেট টইটুম্বুর
মেয়েটার কথা খুব মনে পরে গেল! ও খুব কুকুর ভয় পেত কিনা...
মেয়েটা আমার কোলেই ছিল। এখন কার কোলে কে জানে!
কখন যেন জোয়ার এসেছে।স্রোত এখন আমায় নিয়ে চলছে তার সাথে
শরীরের তীব্র ক্ষত-ঘা; মেনে নিয়েছে লবণাক্ত জল।
কোন এক মোহনায় এসে স্রোত আমায় রেখে গেল। আমার মত শত-হাজার অচেনা জনের কাছে
তারা কেউ-মা, কেউ বাবা, কেউ ভাই, কেউ বোন, কেউ স্বামী, কেউ স্ত্রী, কেউ সন্তান, কেউ বেওয়ারিশ
তারা সবাই ভিড় ঠেলে ঠেলে তাদের পরিচিত খুঁজছে!
থেঁতলানো শরীর শুঁকে দেখছে; ঘামের গন্ধ
মুণ্ডু কাটা শরীর শুঁকে দেখছে;রক্ত। কেউ নখ-ভ্রু ছুঁয়ে দেখছে
ভিড় ঠেলে ঠেলে আমিও খুঁজতে লাগলাম,’অন্য কোন পথ দিয়ে
এখানে আমারও কোন পরিচিত এসেছে কিনা!’