এই আমি; ছিলাম সেগুন কাঠের আলমারিতে।অতি গোপন প্রকোষ্ঠে।
ন্যাপথলিনে মোড়া; তোমার প্রিয় শাড়িটার ভাঁজে!
তুমি যেদিন থেকে, আমায় আলমারির বাসিন্দা করে দিলে-তার অনেক মাস পরে;ফুরিয়ে গেছে ন্যাপথলিনের বড়ি।তারও অনেক মাস পরে-জন্মেছে একটা তেলাপোকা।
তেলাপোকা বললে, ওকে ছোট করা হয়!বলা যেতে পারে- আমার একাকীত্বের সঙ্গী।
ও পদচারিত হত। আমার কপাল থেকে ভ্রু’তে।ওর কিছু কথা;আমি বুঝতে চাইতাম মাঝে মাঝে...


হঠাৎ প্রলয় নাতো? না।তুমি যেন, একযুগ পরে আমায় আলো দেখালে। সাদাকালো চোখদুটো রঙিন আলোয় ঝলসে গেল-বুঝি; অথচ চোখদুটো ঝলসে গেছে সেই কবেই!


আমার; প্রায় নিশ্চিহ্ন চোখের দিকে চেয়ে আছে একজন চিত্রশিল্পী। অতঃপর, স্থানান্তরিত হলাম জলরঙে।যেখানে শুধু চোখদুটোই শুধু স্পষ্ট- বাকী সব ব্যঙ্গাত্মক হয়ে গেছে।


আমি ঝুলে থাকলাম, সম্মুখের ওই আকাশী রঙের দেয়ালটায়। তুমি এবং তোমাদের অলক্ষে।
ধীরে ধীরে আমার চোখদুটো ঢাকা পরে যায়-ধুলোর প্রলেপে!
মাঝে মাঝে শুধু একটা দুটো টিকটিকির অস্তিত্ব টের পাই; আমার কপাল থেকে ভ্রু’তে!!