মাঝেমাঝে কোনো চেনাপথ পেরিয়ে যাওয়া লাগে, নজরে আসে কোনো পরিচিত জায়গা। পথের বা স্থানের কোনো সমস্যা থাকেনা, এসব জড় কাঠামো। তবে অদ্ভুত জটিল একটা জগত তো থাকেই মানুষের মনে। সেখানে নতুন করে আবার পুরোনো দৃশ্যপট জেগে ওঠে। পুরোনো মুখ, অবয়ব, অঙ্গভঙ্গি। এসময়...


"ভয়াবহ তোলপাড় হয়
কালোকাঠের দোচালা একটা ঘর
বাতাসে ঝড়ের ভয়"


এই পরিস্থিতিতে আশংকা থাকে, থাকে ভালোলাগার স্মৃতি-উদ্ভূত প্রকট মনখারাপের অনুভূতি। তখন যে যাতনাগুলো একান্তরুপে নিজের নয়, সেসবের কারণেও নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারানো সম্ভব। এমন নিয়মের বাহিরেই অবশ্য বেশিরভাব মানুষেরা থাকেন, এরা একঅর্থে সামর্থ্যবান, তাদের সুখও সুখ। আসলে...


"যারা একসাথে সামর্থ্য আর সুখে থাকে
পেছনে হেলান দিলে পায় তুলোর দেয়াল
তাদের কাছে আমরা অজ্ঞাত লোক"


আমরা শুধু প্রশ্ন করতে পারি, কে কতটা নিজের করে নিতে জানে অন্যের শোক? শোক এড়াতে নিজেও যে কতকিছু করি। তারপরও...


"কারো মুখের চেনা গন্ধের লাগি
আমার নেশা উঠে যায়
আমার বুকের ভিতর থাকে ছাইচাপা ওম"


অথচ, সে আজ এত দূরে থাকে, আমার দেশ আগুন যখন, বরফ জমে তার বসতে। সেখানেও হয়ত ভিন্নরুপ বর্ষারাত আসে, কিছুটা বিলম্বে। নিকষ অন্ধকারে তার স্বচ্ছ চোখ হেসে ওঠে ক্ষণিক বজ্রালোকে। আমিও অবশ্য এখন অন্ধকার ভালোবাসি। অন্ধকার আমাকে একধরণের আড়াল দেয়। তবু...


"এও তো জানি নি, ভোর চলে এলে
আঁধার চাদরখানি লুকাবে কোথায়
আকন্ঠ মুছে যাব নাকি, যখন জোনাকি
রাতভর পরে নেবে নক্ষত্রের বেশ"


অসম্ভব সৌন্দর্য ভরা চারপাশে, এরমাঝেও প্রচন্ড অভিমান হয়, দিনরাত চুলোয় যায়। যার বা যাদের কারণে এমন হয়, তারা অবশ্য কখনো এই অভিমানের তীব্রতার কথা জানবে না। তবে ভাল ব্যাপার হচ্ছে, অভিমানগুলো কখনো রাগে বদলায় না। এই অপারগতায়...


"আমার হাত হতে, অজান্তে, কুঠার পড়ে যায়
চোখে ভেসে ওঠে একদা পরিচিত তাদের মুখশ্রী
তাদের নিয়ে গড়া পৃথিবীর এক মায়াময় মানচিত্র
এসব আমাকে থমকে দেয়
পাথর হতে পারি না আমি"