"যুবতী ভালোবাসিয়াছিল যুবারে
যুবাও সুযোগ বুঝিয়া মেলাইলো সুরেতে সুর,
জানাইলো, আমিও বাসি ভালো, ওগো অনন্য ঐশ্বর্যবতী!
যেহেতু চতুরমতি ছিল না যুবতী
রহিল অগোচরে তার, কহিল না যুবাও,
আরও বেশি ভালোবাসি বক্ষ, অগভীর নাভি, নিতম্ব তব..."


সময়ের ক্যানভাসে ধূলো জমে জমে আবছা হয়ে গেছে
আমাদের যেসব বিভোরদিনের ঘ্রাণ,
তার উপাখ্যানের কাব্যিকরুপ এমন পঙ্কিল হতে পারতো


তবে সব 'সম্ভব না' এর পর্বত একে একে ঠেলে,
ব্যর্থ স্বেদের পেয়ালায় নিজেকে ফেলে
আমিও ডুবতে চেয়েছিলাম ঝড়পূর্ব মেঘের অপার স্তব্ধতায়
শুধু, আকাশের বুক চিরে যতখানি আকাশ দেখা যায়
তার পরতে পরতে লেখা হচ্ছিল না-পাওয়া অগুনতি, শূন্যতাপ্রবল


আমাদের পথচলা? তাতেও লেখা ছিল রেলপথের বিধান
বহুবিধ বাহানায় ভেসে যাওয়া কাজলমাখা চোখেরা
বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে অগোচরে মৃত হতে থাকা
অযুত শিশিরের আর্তনাদ আমাকে বদলায়নি,
বদলে দেয়নি জোনাকমলিন অথৈ জোছনার চাঁদ...


অথচ, আজ আমি যা, আজ হয়ে বসে আছি যা হবার ছিল না
তার নেপথ্যে কিছু অলস সন্ধ্যা, নরম শিউলিভোরের থরথর হরফ
আশ্চর্য! আমি আবার প্রতিউত্তরের লোভে লিখতে শিখে গেলাম
আমি লিখতে চাইলাম এমন কবিতা,
যার জন্ম আদিমতম লালসার মত পৃথিবীর কোথাও নয়
"চিঠির গন্তব্য অনন্যা মেঘেদের দেশ...",
কবিতার ভিতর খুঁত রাখতে আমি অকারণে লিখলাম...