পিতলের দেহে কাঠের হাতুড়ি, ঘন্টা বাজালে বাতাস
আমি তো কখনো অনঘ অবসাদে পেরিয়ে চেনাপথ
মাটির পেয়ালায় ঢালি নি বিকেলের চা
যে কিশোরীর চোখে ভেসে উঠত বনজ কুসুম
তাকে দেখাতে পারিনি আমার আশ্চর্য প্রদীপ...


আমার স্মৃতি জুড়ে কেবল অমঙ্গল দেহের স্নেহ
বিকল সন্ধ্যের রোদ আর উনুনের পোড়া কালি...
এসবে কিভাবে আঁকতে পারি অরণ্যের সবুজ
বালিকার অস্ফুট কদম কিংবা রুপালি সমুদ্রতট?
অথচ পৃথিবীর কত কবিই পারলেন
কত কবিতা আমাকেও হাসিয়ে কাঁদিয়ে গেল-
বিদ্রুপে বিষাদে, হর্ষ-আনন্দের বহুমুখী সক্ষমতায়...


আমাকে মারো, ক্রোধের বশে মারো
শুধু চোখ এড়িয়ে মারো, যেন পলক না পড়ে
আমার আবহ জুড়ে এমন আতঙ্ক দাও
যেন মাস্তুল ছিঁড়ে সটকে যায় কিংকর জলযান


ফেলে যাওয়া ট্রেনে বেজে উঠুক সঠিক হুইসেল
একথা জানাতে যে-
চলতি পথে নেই আমার নামের বাতিল বিসংবাদ