"এই শহরের বাতাসেও ভালোবাসা ভাসে। কতশত নাম তার, কত ভিন্ন বর্ণ..."


এর বাইরেও কতকিছু থাকে
থাকে অভিমান, অনুযোগ কিংবা-
সমান্তরালে ধরে রাখা লাস্যের পশরা


যে নারী নিজেকে আজ হারাতে বসেছে প্রায়
তার অসহায় গল্পের আড়ালেও অযুত চরিত্র
তবে তাদের অন্তত একজনের একতরফা ইশতেহারে-
ছিল না কোনো প্রতিদানের শর্ত


অথচ, মানুষ বলেছে ভালোবাসা এভাবে হয়না
মানুষ বলেছে প্রেমের জন্ম শরীরে
আর তা কারো নামের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নয়,
মানুষের গড়া শহরও লিখে গেছে গতানুগতিক ইতিহাস


এইসব মিথ্যাচার বুকে রেখে শহর টিকে থাকে। তবে এরপর... এরপর আর যাই হোক, কবিতার কাঠামোয় প্রতারণা চলে না। কবিতার বিশুদ্ধ স্তবকে ভালোবাসার নাম নিয়ে লেখা সম্ভব হয়না মিথ্যেমিথ্যি ভালো আছি বলতে পারবার তরে একটা দোহাই। মনে হয়, কবিতার দেহ ভাংচুর করি। কবিতার নিস্পাপ দেহে থুথু মেরে বলি, "কবিতায় লিখে রাখা যায় না, এরপরও অসংখ্য রাতের অগুনতি মুহূর্ত কিভাবে হতে থাকে ছাই।"


এই শহরে কবিতা ছুঁড়ে ফেলে হোক শুধু দেয়াল-লিখন, মাঝরাতে আঁকা আলৌকিক গ্রাফিতিতে কে বা কারা ফুটিয়ে তুলতে শিখুক, কেন এক সুবোধকে আজও কারো একতরফা মোহে ধুঁকেধুঁকে এড়িয়ে যেতে হবে নব্য নতুন সুখের সমস্ত ঝলকানি।      


সেই চরিত্রটি কে, শহরও হয়তো জানে
শহর শুধু জানবে না, কেন তার মনে ক্রোধ নেই