মাতৃছায়া খুঁজিনি আমি আমার কোনো প্রেমিকার ভিতর
তবে কী আশ্চর্য! একটু আগে যিনি আমার পাশে শুয়ে প্রলাপ বকছিলেন
সময়ে অসময়ে তিনি হয়ে উঠতে চান মায়ের প্রতিমূর্তি
একহাতা ভাত নিলে তিনি আরেকহাতা না চাইলেও বেড়ে দেন
আমিও ঠেসেঠুসে কপাল কুঁচকে আরও কিছু গিলতে গিলতে ভাবি
এ তো নারীর আদি অভ্যাস, এরসাথে প্রেম টেনের আনা অযৌক্তিক


আমি নিজেকে দেখতে চেয়েছি আমার সন্তানের মুখের আদলে
আমি এই নারী সেই নারীর প্রেমে মজে কল্পনায় ফুটিয়ে তুলেছি
অনাগতা কন্যার প্রতিরুপ, যা তার সম্ভাব্য মায়ের মুখের সাথে মেলে


তবে এখন যিনি আমাদের রসনাতৃপ্তির জন্য গভীর রাতেও চুলা ঠেলছেন
তিনি আইনগতভাবে আমার স্ত্রী হলেও নিজেকে মায়ের কাছাকাছি স্নেহশীলা প্রমাণে উদগ্রীব
অথচ, তাকে আমি বহুবার বলেছি, আমার অতিযত্নের অভ্যাসে পড়বার ইচ্ছা নেই
আমি বলেছি, সরাসরি বলেছি, গরজের আধিক্য আমার জন্য না রাখলেও চলবে
তবু মাঝেমাঝে মনে হয়েছে, কন্যার মুখের আদল উনার মতো হলেও হবে আমার হাসিমুখ


অযথা গল্পের অবসরে ফিরে ফিরে এসে যিনি আড়চোখে খেয়াল করছেন
মুঠোফোনের স্পর্শপর্দায় আমার আঙুলের অবিরাম ঝড় এবং মুখে চোরাহাসি
জানিনা তিনি ধরে ফেলেছেন নাকি আমার আজকাল এসব মেনে নিতে তেমন অসহ্যবোধ হচ্ছেনা
জানিনা তিনি ভেবে নিয়েছেন নাকি প্রেমের এটাও অন্যরূপ, যাতে আমি ধীরলয়ে অভ্যস্ত...