যদি চাও সস্তার গাড়ি তুমি ধরতে,
কলকাতা চলে যাও ট্রামগাড়ি চড়তে।
ঝালমুড়ি, ফুচকা, চুরমুর, ভেলপুরি!
তাই খেয়ে বেড়ে গেলো শহরের ভুঁড়ি।
জমেনা সকালটা, চায়ের দোকান ছাড়া,
মেনরোডে হাঁটলে সিগন্যাল করে তাড়া।
বৃষ্টিতে লুকাতে চায় ক্লান্ত ছাতা,
ল্যাম্পপোস্ট, অলিগলি লেখে কবিতা।
পিচগুলো গলে যায় চাকার দাপটে,
মানুষের থেকে বেশি গাড়িঘোড়া ছোটে।
বইপাড়া ঘুরে ঘুরে, বই পড়ে কতো বাবু,
শীতকালে শীত নেই তবু, কলকাতা কাবু।
যাহা তুমি খুঁজিতেছ এই বিশ্বমাঝারে!
দুনিয়াতে না পেলেও, পাবে বড়বাজারে।
হুগলী নদীর বুকে- হাওড়া সেতু,
তারামণ্ডলে নামে রোজ ধূমকেতু!
চাঁদনী মার্কেটে গেলে জানতে পারবে ভাই,
ডোরেমনকে কারা দেয় গ্যাজেটের সাপ্লাই।
ঘুরে এসো একবার পার্কস্ট্রীট থেকে,
সেথা ডায়নোসর চলে গেছে হাড়গোড় রেখে।
আলিপুরে দেখে এসো মানুষখেকো,
বাঁদরের খাঁচা ফাঁকা, সাবধানে থেকো!
ভিক্টোরিয়ার পরী…….. ঘোরাঘুরি বন্ধ,
ভুল করে বলেছিল- “কলকাতা মন্দ”!
বালি তবু গোনা যায়, মানুষগুলো নয়,
হারিয়ে যেতে ভিড়ের মাঝে, বড় ইচ্ছে হয়।
যতই নিন্দা লিখে, ভরে ফেলো খাতা,
আমি জানি অদ্বিতীয় আমার- “কলকাতা”।।