সেদিন বিকেলের ছাদে তুমি আকাশের দিকে খুব অসহায়ের মতোন তাকিয়ে ছিলে,
আমার সামনেই যেন কাঁচের বৃহৎ টুকরোর ন্যায় ভেঙ্গে পড়তে শুরু করলো আকাশ;
সূর্য এবং চাঁদকে আকাশের কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়না,
অথচ, আমি আলোর উৎস খুঁজছিলাম।
আমাদের শতবর্ষী প্রেম কখন যে বিষাদে রুপ নিয়েছে
তা ভেবে আমি বিচলিত হই না,
কেননা, জানি জগতের প্রত্যেকটি সম্পর্ক ভঙ্গুর এবং ক্ষণস্থায়ী।
আমি জানি,
আমরাও একদিন মুখ ঘুরিয়ে পরস্পরকে অতিক্রম করবো মহানগরের কোনো ব্যস্ততম রাস্তায়।
সেদিন হয়তো দিনের সূর্য কিংবা রাতের চাঁদ থাকবে,
কিন্তু আলো দেখানোর মতোন কোনো নক্ষত্র সেদিন ক্ষণিকের জন্যেও জ্বলে উঠবে না।
আমাদের অযুতবর্ষ জুড়ে যাপিত জীবন কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা এবং ক্ষোভ জমিয়ে রেখে নিঃশেষ হতে শুরু করবে।
এবং আমরা হেঁটে যাবো তিন রাস্তার মোড় থেকে অমরাবতী অবধি, শব্দহীন-গন্ধহীন-বর্ণহীন পথে।
হয়তো তোমরা একে এক উদ্দেশ্যহীন পদযাত্রা বলে আখ্যায়িত করবে, করো;
আমরা মহাকালের বিভ্রান্ত যাত্রী।।