আমি বন্ধ ঘরের জানালা খুলতে শিখেছি
শিখেছি ভোরের সোনা রোদে দেহ মাখতে।
পাখিদের গান আমার ভাল লাগে-
ভাল লাগে শিশির স্নাত ফুলের সুবাস,
নাঙা পায় দূর্বাভরা মেঠোপথে হেঁটে আমি অভাবনীয় আনন্দ লভি।
শিশুদের কোলাহল আমাকে মুগ্ধ করে-
তা’র জিজ্ঞাসায়, উচ্ছ্বাসে আমি পাই নব দিগন্তের খোঁজ।
পথ বেয়ে যে একলা পথিক যায় আমি তাকে শ্রদ্ধা করি
লোভ-লালসা তার নেই এত-
সে খুঁজে চলেছে হারানো সে বসন্ত
কটা দিন আগেও যা তার ভূবন রঙিন করে ছিল!
আমার কাছে মূর্ত সব-
আমার অতীত, আমার বর্তমান, আমার ভবিষ্যত!
অপরে’ নিন্দা আমায় টানে না; কটু কথায় হৃদয় বিচলিত হয় মাত্র।
গতকালের আমি, আজকেও সেই-আগামী দিনেও তাই থাকব,
তোমার পথচলার সাথি আমি, তুমি তাই মানো
আমার চলার সাথি বেশ...
অই ফুল, অই পাখি, অই নদী, অই হাওয়া, উর্বর প্রান্তর-
অবুঝ কটা শিশু আর দিকভ্রান্ত সেই পথিক
যে গতদিনের হারানো সংগ্রামের ছবি বুকে বেঁধে ছুটে চলেছে অভিরাম
তুমি পীড়া দিলে হয়ত আমি তাই হব
তবে যা আছি, জেনে রেখো তাই ভালো।


উত্তরা, ঢাকা
২২/০৩/২০১৬ খ্রিস্টাব্দ।