এমন অনেক মৃত্যু এড়িয়ে
চিবুক কে মেখে নাও তুমি গরল চুম্বন।
আর আমি?
কামনার বেদিতে নিরন্তর
জ্বালাই প্রেমের দীপাবলী।
এবং ক্রমশ আগ্রাসী আঁধারে ডুবে যেতে যেতে,
হঠাৎ বেঁচে ওঠো দুর্বাসা পূর্ণিমা।
সদ্য স্নানে সিক্ত কেশ থেকে তোমার
অবিরাম ঝরে যন্ত্রণার জল।
অত:পর এক মেহেদি বাটা সন্ধ্যায়-
পালিশ করা জীবনের লোভে, এই শশ্মানের নিঃসঙ্গতা ছিঁড়ে আবার ফিরে আসো আবিষ্ট নগরে,
ফের ভালোবাসো -
মোনালিসার ভ্রযুগোল,
অভিসারী মেঘের লাবন্যতা।
কিন্তু লোকালয়ে তখন দারুন ক্ষুধা।
গঞ্জের পথে চলে বাস্তুহারা মানুষের পাল।
যশোর রোডের গল্প নয়!
একান্ত আমাদের পাঁজর ভাংগা ইতিবৃত্ত।
সেই ভুখা নাগা পতংগসম মানুষের মিছিলে
আবার তোমারে পাই।
প্রেয়সী!
তুমি গির্জা র সোফিয়া লরেন,
কলকাতার রেস্কিউ শিবিরের
উদাস চোখের অচেনা কিশোরী,
জায়নামাজে ধর্ষিতা বাংলাদেশ,
কাঁটাতারে  ঝুলে থাকা ফ্যালানি।
আমার প্রসারিত হাতটা ধরতেই
তোমার কানে ভেসে আসে-
গত দুর্ভিক্ষে মরে যাওয়া শিশুর ক্রন্দন।
বহুদিন বাদে দক্ষিণের নারকেল শাখায়
হেসে উঠে প্যাঁচা দম্পতি।
ওদের হাসির দমকায় আসমান
ভেংগে পড়ে মাথায়; হু ধুধু ধু।
এবং এই ঘোর জোছনায়,
আবার মরে যেতে ইচ্ছে করে তোমার।।