তরঙ্গের এই মহা সমুদ্রের তীরে
মোর এক ফোঁটা চোখের জল।
খান্ত হয়ে পরে আছে,
মিশেনি আজও সেই নোনা জল।
তরঙ্গিণীর উল্লসিত পানির তরে
নেই কষ্টের নোনা পানির ঠাঁই।
তাই বলে বিশাল সমুদ্রে মোর
চক্ষু জল আজ অসহায়।
নদী জানে এই জল অসয্য ভারী
না হয় কষ্টের শেষ সীমান্ত থেকে,
এক ফোটা জল কেন ঝরে।
ঝরে পরা অশ্রুর এই ঝর্না দারা
যদি সমুদ্রে মিশে হতো একাকার।
তবে মানব চোখের নোনা জলে
মানব কষ্ট বিলীন হতো কোনকাল।
পাহাড় পর্বত  বৃক্ষ তরুলতা
যদি তুলনা করি তার সাথে মোর
যেন তার বিশালতার কাছে ক্ষুদ্র
জগত সব মানব কুল।
এই ক্ষুদ্র মানবের এক ফুটা জল
সপ্ত আকাশে মেঘ না জমিয়ে।
আজও ঝরে পরেনি কোনকাল।
খুব অদ্ভুত এই মানব চক্ষু জল।
অকারনে নোনা পানির সমুদ্র হতে
ঝরে পরে না সেই এক পোঁটা জল।