নিজেকে বাঁচাতে...খাঁচা তে থাকেনি পাখি টা,
উড়ে যাবার পর
লেখা হয় নি আর
গল্পের বাকী টা।

ফেসবুকের ব্লকলিস্টে
তোমাকে রেখেছে যে জন;
তুমি তার সবচেয়ে বড় স্বজন।

তোমাকে এড়িয়ে বাঁচতে গিয়ে আমি মরতে বসি।
তারপর মৃত্যুকে এড়ায়।তোমাকে আর এড়ানো হয় না।

মোদির কাঁধে ধর্মের ভার,
ভারতের কাঁধে আজ মানুষের লাশ।

মানুষের সমুদ্রে মানুষের ঢেউ,
আমি নই তাদের,তারা নয় কেউ।

নতুন রাজাকার, মুখোমুখি শত্রুর সাথে বাস;
সম্বিত ফিরুক,জেগে উঠুক ষোল কোটি লাশ।

রাস্তার দু-পাশের পোস্টারে,
দেখা মেলে সব অনাসৃষ্টির স্রষ্টারে।

শুনো হে সাদিক,
রাজ্যের সব টাকা রয়েছে বা'দিক।

এই বাংলায় রটিলো যত দুর্নাম যতখানি হলো ক্ষতি;
তার অর্ধেক দায়ী সম্পাদক,বাকী অর্ধেক সভাপতি।
১০
একটা জীবন কাটলো লোভে,একটা জীবন ক্ষোভে;
ভুলেই যাবো জীবন দুটো.......যখন আমায় ছোঁবে।
১১
সরে গেলে সরণ,
কাছে এলে মরণ।
১২
ফিরবো না আর হারবো না আর,ডাকলে ডাকুুুুক;
আমার মনের মালিকানা আমার কাছেই থাকুক।
১৩
এই ডালে বসা পাখি......
ঐ ডালে যদি বসে?.....বসুক,
বাসা হোক নিখুঁত,
পেট ভরে খাক খুদ,
পালক না খসুক।
১৪
দিন দুপুরে একটা মানুষ,ঝাঁপিয়ে পড়ুক বুকের উপর;
"এখন'ই আমি আদর চাই",বলুক আমার মুখের উপর।
১৬
নিজের'ই কানে একদিন বলেছিলো সে,
অচিরেই হব লাশ;
প্রত্যয়ন পত্র এসেছে আজ,
পেয়ে গেছে মৃত্যুর অবকাশ।
১৭
আমি উইপোকা খাওয়া এক বই;
তাই আমার আমি অন্য কারুর নই।
১৮
পুরোনো দুঃখের কথা বলি
আমি আজ যার কাছে,
তার আঁচলেই আগামীদিনের
নতুন দুঃখ জমা আছে।
১৯
প্রেমে পড়ার পর মনে হয়েছে আমি কুকুরের আত্মীয়।
২০
গাছের কাছে সুখ গোপন করা পাখির পাপ।
২১
কার্বন ডাই অক্সাইডের বিনিময়ে অক্সিজেন দিয়ে গাছ জানিয়ে দিয়েছে পরম বন্ধুত্ব বলে কিছু নেই।
২২
ভালো রাখার তাগাদা নেই,তবু আছো বেশ তো,
এখন আর ঝগড়া নেই,অনেক কিছুই শেষ তো।
তুমি এখন খুশি না? সব কিছুই তো ভাল্লাগে,
কষ্ট এখন পুষি না,কষ্ট এখন ঝাল লাগে।
যদি তোমার কান্না পায়,আমায় তুমি মাফ করো,
অতীত যদি ছাড় না পায়,আমায় ভেবে পাপ করো।
২৩
তুমি আমার মুক্তা।
কিন্তু আমি যে ঝিনুক খোঁজা মানুষ।
২৪
নোনতা নয়,তোমার দেহের স্বাদ তেতো;
অথচ মধুর নামে চালিয়ে দিয়ে বারবার জেতো।
২৫
পৃথিবীতে মানুষ আসার পর পাঠানো হলো 
কুকুরকে।তারপর বিড়ালকে।বিড়াল
এসেই মানুষের দুধভাত বাটিতে
মুখ দিয়ে বসে।মানুষ তখন
কুকুরকে লেলিয়ে দিলো
বিড়ালের
পিছনে।
সেই থেকে কুকুর আর
বিড়ালের শত্রুতা।কিছু দিন
পর এক শীতের সকালে রোদে
বসে আছে কুকুর।হঠাৎ জানলায়
চোখ পড়তেই কুকুর দেখলো মানুষের
সাথে শুয়ে আছে তার তাড়ানো বিড়ালটি।
২৬
আমাদের দেখা হোক রোজ.....দু-বেলা,
প্রতিবার'ই বাড়ুক তোমার চোখের ঝামেলা।
২৭
একবেলা চেয়ে খাওয়ার পর
আমরা হাত পাতি আবার,
অথচ খাবে না জেনেও....
পিঁপড়ে'রা জমে রাখে খাবার।
২৮
দুর্নীতির সব প্রতিবেদন পড়বার পর
ঈশ্বর কহিলেন হেসে.....
দূতাবাসে ঘুস দেওয়ার টাকা নেই,
কীভাবে যাবো তোদের দেশে?
২৯
আনন্দিত মানুষের কোন শত্রু নেই,
শত্রুদেরও আনন্দিত কোন মিত্র নেই।
৩০
কাঁধ ব্যাগে ছাতা নেই,ভিজে গেলো মুখ,
ভিজে গেলো শাড়ি;
আকাশকে গালমন্দ করো......
ওরাও জানুক তুমি অহংকারী।
৩১
প্রথা ভেঙ্গে চুমু-আইন পাস হয় যদি তোর ঠোঁটে,
ইভিএম'ই দিয়ে দিবো,জিতে যাবি নিরঙ্কুশ ভোটে।
৩২
টেবিল ভরে গেলো কবিতায় -ভারী হলো ফাইল,
তোমাকে না দেখার অসুখে দু চোখ কাহিল।
৩৩
ডাক্তার লিখেছে প্রেসক্রিপশনে,
তোকে যেন..না আনি..আর মনে।
৩৪
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে হোঁচট খেলে,বাবা হাসায়;
নৈতিক ক্ষেত্রে হোঁচট খেলে, পৃথিবী শাসায়।
৩৫
আজ না হোক কাল জয় হবে,
থেমে নেই যাদের লড়াই;
লিখে দিলাম পৃথিবী ওদের,
পতাকা তুলুক ওরাই।
৩৬
হলুদ হলুদ আলো তোমার,আমার অন্ধকার;
সাহস করে বলো তো মনের দুয়োর বন্ধ কার?
৩৮
দেয়ালের এপাশে আমি
ওপাশে তুই,
তবু তোকে রোজ আমি ছুঁই!
৩৯
মাঝ পথে এসে
পাওয়া যায় টের,
পথ বাকী আরো ঢের!
৪০
দরখাস্তের প্রথম থেকে শেষ শুধু সবিনয়,
তুমি মন বোঝো না,বোঝো শুধু অভিনয়।।
৪১
বুকে রোদ নিয়ে আকাশ হাসিখুশি,
অশ্রু বৃষ্টি রাখে আড়ালে,
আমরা আকাশ নই,
আমরা অঝোরে কাঁদি,
মানুষ হারালে।
৪২
দিনে খান বিশেক সিগারেট খায় আমাদের খন্দকার,
প্রহর গুনছে,কখন ইফতার?নামবে কখন অন্ধকার।
৪৩
ভীষণ রোদ,জল নেই,শুকে গেছে বিল;
অথচ এই রোদেও কারো কারো চোখ পিচ্ছিল।
৪৪
খালাস তুমি দিয়ো না,ঘরের কোণে দুঃখ রাখো পুষে,
ভুলো মনে তুলো রেখে,যত্ন করে বিষাদ নিয়ো শুষে।
৪৫
সুখে নেই মন,বৃথা আলাপন,
তবু তুই থেকে যা;
কলমে নেই কালি,
দাগ টানা যায় খালি,
তবু তুই এঁকে যা।
৪৬
দুই নৌকায় পা দেওয়া মাঝি,
তোর প্রেমিক হওয়ার ইচ্ছে নেই,তাই দেবতা সাজি।
৪৭
আকাশ ভালো নেই,সাথে তোমাদের মন ও;
নূপুর না ছোঁয়া পুরুষ তুমি মেঘ বৃষ্টির গান শোনো।
৪৮
পাহাড় দেখার ইচ্ছে ছিলো,পাহাড় চড়ার ছিলো সাধ;
পাহাড় নিয়েই ঘুরে বেড়ায় এখন আমার কাঁচা কাঁধ।
৪৯
বিষাদ হলো গাঢ়,সময় নেই কারো,তোমায় দেবার সান্ত্বনা;
হৃদয়পঁচা মানুষটাকে কথার ছুরি খুঁচে খুঁচে তবু ওরা ক্ষান্ত না।
৫০
তুমি মেঘদের কান ধরো,বকুনি দাও,প্রশ্ন করো
ওরা কেনো চুপিসারে আমাদের ঘরে আসে না-
তুলো হয়ে উড়ে বেড়ায়,আমাদের ভালবাসে না।
৫১
তোর পর্বের প্রাণী গুলো,যারা কানে দুল পড়ে,নাকে ফুল পড়ে;
এরা আমাকে শুধুই একখানা পুরুষ ভেবে,প্রতিদিন ভুল করে।
৫২
যেন তেন প্রকারে বেঁচে আছি,
যে ভাবে বেঁচে ছিলো লাঞ্ছিত শূদ্র;
রূপের বিচারে তুমি বামন মানুষ,
আর আমি তুচ্ছ,অতি ক্ষুদ্র।
৫৩
যাবজ্জীবন দণ্ড আমার,হাজার বছর বন্দী-রে;
কেনা ফুল,কুড়ানো মুকুল ,যাইনি তাই মন্দিরে।
৫৪
দূর থেকে দেখে কালো কে লাল মনে হয়;
কাছে এসে সবটুকু পড়ে,উহাকে বাল মনে হয়।
৫৫
ঐ নারীর বুক দম্ভ আর মাংস দিয়ে গড়া,
যেয়ো না ওর কাছে,আসুক বন্যা আসুক খরা।
৫৬
আমার প্রতি ভালবাসা রাখো তুমি বুকে,
কায়দা করে বেণীর মধ্যে খুব যতনে লুকে।
৫৭
ফাঁদ পেতে রেখেছে জুয়ারী মেয়ের ঠোঁঁট-ঢেউ খেলা চিবুক;
হৃদপিণ্ডের জ্বালানি রেখো না,জল ঢালো,আগুন নিভুক।
৫৮
তোমার ঠোঁট পাতায় বৃষ্টিভেজা পাতার মত
জল জমুক,
জলের স্রোতে সাঁতার দিয়ে আজকে আমার
বল কমুক।
৫৯
গোপন কথাটা,
বুকের ব্যাথাটা,যদি দেখানো না চলে;
থাকিস কেঁদে,রাখিস বেঁধে,
আজন্ম ভর শাড়ির আঁচলে।