দাদামশাই উপদেশ দেন,
করেন স্মৃতিচারন।
“প্রেম-পিরিতি ভালোবাসা,
করতে তো নাই বারণ!!”


“ছিল যখন তোদের বয়েস,
দিলে বহুত প্রেমের খায়েশ!
ন’মাইল হেটে পাশের গ্রামে,
ঘরটা দেখেই পেতাম আয়েশ!”


“বেড়ার পাশে,মিউ ডাকে!
পত্র দিতাম,জানলা ফাঁকে,
টিনের চালে ছুড়তাম ঢিল!
খেতাম বাপের কত কিল!”


নদীর ধারেই দুপুর যেত,
তোর দাদী যে নাইতে এতো!
ওপার বনে আমি উৎসুক
আবছা দেখেই জুরাতাম বুক


অমাবস্যার অন্ধকারে
দেখতে গেলাম সাহস নিয়ে,
শশুর আমার ফেলল ধরে
কত ঝামেলা,শেষে বিয়ে।


দাদী বসে দাদার পাশে,
মুচকি হেসে বলেন শেষে-
“বিরক্ত যে করত কত,-‘দাদু’
তবে বিরক্তিটা ঢালতো বুকে মধু!”


অবাক হয়ে ভাবি-মনে মনে,
এমন প্রেম তো পাবেন’না এক্ষনে!
ডিজিটাল যুগ,ডিজিটাল প্রেম-
আধুনিক সব ধারা,
লাভ’ইউ তেই প্রেমের শুরু
ব্রেকাপ বলেই ছারা।”