আমি যে মারা যাচ্ছি তা কিন্তু কাউকে বলিনি,
বলাও বারণ।
প্রথমে দখিনা বাতাসের প্রবল ধাক্কায় ছিটকে পড়েছিলাম,
ধাতস্থ হওয়ার আগেই গলা পানিতে
ডুবে গেলাম;
পানি উপরের দিকে ক্রমশই বাড়ছে,
যেন ডুবিয়েই ছাড়বে
দখিনা বাতাস কেন এতো ভয়ঙ্কর হলো?
কেনইবা ঘরের ভেতর এতো এতো পানি?
মাথাটা ঝিমঝিম করছে, মৃত্যুর
পূর্বাভাস?
চোখের সামনে হাতও দেখা যাচ্ছে
কি যেন আঙুলে ধরা
ট্যাবলেট জাতীয় কিছু একটা
নিতে বলছে কী?
হাত চলে গিয়ে আঙুল থেকে সেটা নিয়ে দেখি
পানি প্রায় ঠোট ছুঁয়েছে;
এবার হাতের মালিক ইশারা করলেন,
ট্যাবলেট জাতীয় জিনিসটা মুখে দিয়ে গিলে ফেলতে,
তাই করা হলো অনিচ্ছাতেও।
চোখের পাতা কিন্তু আর খুলে রাখা যাচ্ছে না;
শরীরময় যন্ত্রণা, চার পাশের পানি নাক অব্দি পৌছেছে,
তার মাঝে এই ট্যাবলেটের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া।
তবে কী এটা মৃত্যুর উপাদান ছিল?
কে তিনি?
নাহ, এবার ভাবনাশক্তি লোপ পেল।
কুকরে যাচ্ছি ব্যথায়, তলিয়ে যাচ্ছি পানিতে,
মৃত্যুর উপাদান নিস্তেজ করে দিচ্ছে শরীরকে,
বিদায়...
ঝাঁকুনি দিয়ে ঘুম ভেঙে গেল
ঘামে নেয়ে উঠেছে শরীর, কি হলো-
প্রশ্ন নিজেকেই।
জানালায় চোখ যেতে আকাশের মন খারাপ
চোখে পড়লো।