ছোট্ট একটা ঢেউ বদলে দিলো সব
বদলে দিলো পাথরভাঙার উৎসব
বেহুলা-লখিন্দরের বিষর্জন
চন্দ্রদেবী সুয়েনের মন্দিরে কবি এনহেদুয়ান্নার
ছান্দিক পঙক্তিমালার সুরভিত বিচ্ছুরণ


না অন্য কেউ নয়
আমাদের কানেকানে বলেছে উত্তাল ঢেউ
‘সংযত হও, থাকো নীরব’


হেরে যেতে দেখেছি গাদ্যিক হরফ


লালন-রবীন্দ্র-নজরুলের গানও
স্বরলিপির ভিতরে ধীরে ধীরে নিজেদের বিলিয়ে
সুরের দ্যুতনায় গলিয়েছে মানবিকদ্বন্দের বরফ


আজকাল কেউ আর
ন্যাপথ্যের গল্পটা শুনতে চায় না
বিনা কারণে তাজমহলকেও
ভেঙে ফেলতে কুণ্ঠিত হয় না


কিন্তু ভেবে দেখো
এই যে অনিচ্ছার সময়কে দিই বিষর্জন
তা থেকেই পাঠ করো তুমি আগামীর উত্তর
নিজেকে যাচাই করতে
আমাদের আকাশকে পড়ি
প্রকৃতিকে পড়ি, অস্তিত্বকে পড়ি
দৃশ্যমান সবকিছুই পড়ি


আবার যখন একান্ত প্রয়োজন, তখন
হরপ্পা মহোঞ্জোদারোর কাছে যাই
পূর্বপুরুষের ফসিলের কাছে যাই
পাহাড় ও সমুদ্রের কাছে যাই
জরা, শোক, কাপুরুষতাকে দূরে ঢেলে
আমার কণ্ঠে আগুন জ্বালাই

চিৎকার করে বলি আমি সংখ্যালঘু নই
উদ্বাস্তু নই, যাযাবর নই
আমি স্বপ্ন বুনি, স্বপ্ন ফলাই
স্বপ্নের ভিতরে বাঁচতে শেখাই
প্রগতিশীলদের বিনা অস্ত্রে
যুদ্ধ-মন্ত্রে বাঁচার কৌশল শেখাই
.
চোখের ভিতরে চোখ রাখি আর
বন্ধুত্বের সেতু নির্মাণে উৎসাহ যুগাই
.
সৃষ্টিকর্তা যথার্থই জানেন
এ ব-দ্বীপে বেঁচে থাকা মানেই লড়াই
তাই এখন আর প্রন্তিক মানুষগুলো
গনতন্ত্রের উৎসবকে নিয়ে করে না বড়াই