পাশাপাশি শোয়া আর
প্রজন্ম লালন-পালনে বিত্তের সংস্থান
এই যদি হয় ঘর
তবে বাউলের খাতায় লিখ আমার নাম
তোমাদের প্রচলিত সংসার ছেড়ে
আমি মৃত্তিকার পথে চললাম


না, চাই না আর; দেখা হোক আবার
চক্রের নিয়ম ভেঙ্গে কেউ জমাক
দলিল-পাঠের আসর
সরব হোক তথাকথিত কর্তার লাঠিয়াল
তার হাতেই এখন স্থাবর-অস্থাবর
অথচ বঞ্চিতদের তালিকায় তারই সহোদর


এসবের কোন সাক্ষী নেই;
নেই কোন প্রত্যক্ষদর্শী
সেদিন চোখ মেলে শুধু তাকিয়ে ছিল
পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া এক নদী
আর কাছ থেকে দেখেছিল সব; এক কবি
নদী ও কবি এখন মুখোমুখি
জানতে চায় দুজনই; কে বেশী সুখী?


ভালবেসেছি যাকে তার সাথেই ছিল বিরোধ
তবুও স্বেচ্ছায় নিজেকে বেঁধেছি বনলতায়
একঘেয়ে জীবন থেকে পালানোর আশায়
করিনি প্রতিরোধ; নেই নি কোন প্রতিশোধ


এখনও ভাতঘুমে, ঢুলু ঢুলু চোখে
বুকে পোষা অপ্সরী,
তার ধ্রুপদী নৃত্যের মুদ্রায়
মনের কথা বলে যায় সুখে-অসুখে
প্রত্যুত্তর দিতে অপরাগ তারই মতোন
শিল্পকলার প্রমিত ভাষায়


চাদর-আদর একাকার
খুলে ধরি চকচকে তলোয়ার
নিঃস্ব হওয়ার আসরে ক্ষীরের সাগরে
ধেয়ে আসে অন্ধকার
ছন্দহীন তরঙ্গে, পুড়ে অঙ্গ, পুরে সঙ্গ
পুড়ে যায় উপুষ গালের শীৎকার


কে কার
এ প্রশ্নটি এখন থাক
তার আগে জেনে নেই
অতীতের সবকটি বাঁক
যে যতো করেছে রাখঢাক
সে ততোই হয়েছে অবাক
যতই আমি জিজ্ঞাসু চোখে স্বপ্ন আঁকি
আমি কি আর তখন আমার মধ্যে থাকি