এমন বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলো যারা,
শুরুতেই জানাই মন থেকে শ্রদ্ধা ভালোবাসা।
ঠিক সেই ৭১এর মুক্তিযুদ্ধের পাতায়
আমার বাবার নামটিও যে আছে লেখা।
দেখে যেতে পারেনি সে তাদের
লড়াই করা বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী।


বিজয়ের এমন সুবর্ণ জয়ন্তীর সাক্ষী
হতে পেরে আমিও যে ধন্য বাংলার মাটিতে।
শেখ মুজিবের ডাকে দেশটাকে ভালোবেসে
ঝাপিয়ে পড়েছিলো যারা; তারাই তো
সোনার ছেলে বাংলাদেশের রূপকারের পাতায়।


দেশের আবেগে ভেসে যাই আমরা
সাথে দেশটাকে ছিঁড়ে খাওয়ার
প্রতিযোগিতা আমাদের হরহামেশাই।
সোনার এমন দেশটাকে নিঃস্বার্থে লড়াই করে
দিয়ে গেছেন আমাদেরকে যারা; তারাই আজ
বেঁচে আছেন অতি সাধারণ হয়ে গ্রামবাংলার
কোনো এক কোণে।


দেশটা তবে এগিয়ে যাচ্ছে এক প্রতিযোগী নিয়ে
এক প্রতিযোগী এগিয়ে গেলেই কি দেশটা তবে
সমান তালে যাচ্ছে এগিয়ে...!?
সর্বাপুরী দেখতে হবে; সমান ভাবে নিতে হবে এগিয়ে,
তবেই না দেশটা যাবে এগিয়ে সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে ।


একটা শ্রেণি যাচ্ছে এগিয়ে খুব দ্রতগামী হয়ে,
আরেকটা শ্রেণি পরে আছে অনাহারী হয়ে।
দেশটার এমন সুবর্ণ জয়ন্তীতে এখনো
শিক্ষিত বেকার ছেলেগুলো অভিশপ্ত হয়ে
বেঁচে আছে বহু পরিবারের বোঝা হয়ে।


তবুও আজ সাক্ষী হতে যাচ্ছি বাংলার
এই বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীর।।
হাসি-কান্না বুক ভরা ভালোবাসায় শ্রদ্ধা জানাই
বাবার মত সব মুক্তিযুদ্ধাকে।
সম্মান করো হে প্রজন্ম বেঁচে থাকা প্রতিটা
মুক্তিযুদ্ধাকে; তারা এখন বৃদ্ধ; তবে, যেই দেশটাতে
বসে আজ এতো কিছু করিতেছ, সেই দেশটার
রূপকারের গল্পে যে তাহাদের নামটাই লেখা আছে।।


ভালো থাকুক প্রিয় বাংলাদেশ লক্ষ কোটি বছর...।
প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে গল্পে বেঁচে থাকুক তারা;
শেখ মুজিবের ডাকে সারা দিয়ে দেশটাকে রক্ষার
কাজে যাপিয়ে পরেছিলেন যারা...।
সুবর্ণ জয়ন্তীতে তাহাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ভালোবাসা।।


[ কবিতার ভাষায় হঠাৎ করেই লেখাগুলো লিখলাম। তাই ছন্দে বা শব্দের মিল না থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন]