হে চোখ! তোমাকে বলছি,
শুনতে পাওনা আমার আর্তচিৎকার?
শতবার তোমাকে ফিরিয়ে এনেছি,
তুমি ছুটে গেছো বারবার।


তোমাকে বুঝিয়েছি আমি নির্জনে;
নিরালায় কখনো বা একান্তে।
তুমি কি বোঝনি আমার কথাগুলো?
নাকি ফিরিয়ে দিয়েছো উপহাসে?


যতবার বলেছি তোমাকে "ফিরবে কি-না"
ঘাড় নেড়ে নেড়ে দিয়েছো সায়!
কিন্তু যখন কাজের পালা, করোনি কিছুই
রয়ে গেছো সেই নির্লজ্জ, বেহায়ায়!


সারাদিন দেওয়া ওই জ্ঞানের বাণী
তুমি কিছুই শুনতে পাও নাই?
কেনো ভাই তুমি বেপরোয়া কেন?
তোমার কি ভয়-ডর কিছু নাই?


আমাকে তুমি বুড়ো আঙুল দেখিয়ে
শত মজা লুফে নাও নিজে,
খানিক পরেই তোমার বেহাল দশা
মরে যাও অনুশুচনাতে!


সত্যি করে বলো না ভাই
আমি কি আসলেই চেয়েছিলাম?
বলো না ভাই কসম করে
আমি কি তোমায় বারন করেছিলাম?


যাকগে ভাই সেসব আলাপ
মানছি আমি নিজের ভুল!
কিন্তু তোমায় বলছি শোন
সময় গেলে পাবে না কুল!


ক্ষনিকের এই কামুকতা তুমি
রাখতে পারো না নিয়ন্ত্রণে,
স্বপ্ন আবার দেখো তুমি
শাসন করবে এই জমিনে!


আষাঢ়ের গল্প হার মেনে নেয়
তোমার অলীক কল্পনাতে,
দিও না গুড়ে বালি করে তুমি
আমার ছোট্ট স্বপ্নটাকে।


সামান্য এই চোখের ভুলে
হয়ে যেতে পারে আরো শত ভুল,
কে দিবে চিরসত্য দিনে
সে ভুলগুলোর মাশুল?