তোমরা সৌম্য, তোমরা কাব্য,
তোমরাই বলাকা বিজয়ের অসীম কবিতা
তোমরা নিটোল তোমরা ভগবান,
মহাবিষাণীর পৃত্থিকা যীশু, উদয় কান্তিকা!

বহুযুগ ধরি এ যেন সেই শানিত সংগীত,
অমর বীণায় বয়ে রয়,
এ যেন এক সমর ধ্যানের প্রলাপ সুধা
বড় নিক্কণ! বড় প্রাজ্ঞলোক! বড় নিটোল প্রভাসিনী শ্লোক!

যুগে যুগে ওহে তোমরাই রচে যাও সন্ন্যাস প্রলয়,
যীশু মশীহর ত্যাগীয় যমুনা !
আর আমি হয়ে উঠি যেন এক নিমর্লন্দেু, আরও মানুষ, আরো যীশু, আরো স্বচ্ছ
আরো প্রসাদ, আরো যুগবালিকা!
হেন তব এ অভাগা সংসারে
এ যে কেবলই তব বেনুকা বিহাড়ী
বিভ্রান্তের মাঝে অভ্রান্ত অজানা
আয়োজনের মাঝে শুচিতনু হবার ব্যর্থ সাধনা
পরিত্রাণের মাঝে আত্মবন্দিত্ব হবার অবিরাম আহাজারি!

তবু আজও আমি অনন্ত নীহিরিকার মাঝে আত্মপ্রত্যয়ের বির্স্তীণ ভোর খুজি
এক প্রশান্ত আবছায়ে নিকোশ, নিভার্র ভুবনের পানে হাটি!
হায়, এ কত যেন উপখ্যান, আষাঢ়ে জল, আর সেই আদিপাপের মৃত্যুঞ্জয়ের উপখ্যান!